আমার মোহাম্মদের নামের ধেয়ান হৃদয়ে যার রয়
ওগো হৃদয়ে যার রয়।
খোদার সাথে হয়েছে তার গোপন পরিচয়।।
ঐ নামে যে ডুবে আছে
নাই দুখ-শোক তাহার কাছে
ঐ নামের প্রেমে দুনিয়াকে সে দেখে প্রেমময়।।
যে খোশ-নসীব গিয়াছে ঐ নামের স্রোতে ভেসে’
জেনেছে সে কোরআন-হাদিস-ফেকা এক নিমেষে।
মোর নবীজীর বর-মালা,
করেছে যার হৃদয় আলা
বেহেশতের সে আশ রাখে না, তার নাই দোজখে ভয়।।
আমি যাইমু ও যাইমু আল্লাহর সঙ্গে
হাছন রাজা আল্লাহ বিনে কিছু নাহি মাঙ্গে ।
আল্লাহ রূপ দেইখা হাছন হইয়াছে ফানা ,
নাচিয়া নাচিয়া হাছন গাইতে আছে গানা ।
আল্লাহ রূপ আল্লাহ রং আল্লাহ র ছবি ।।
নূরের বদন আল্লাহর কি কব তার খুবি ।
আমি যাইমু ও যাইমু আল্লাহর সঙ্গে
হাছন রাজা দিলের চোখে আল্লাহ রে দেখিয়া ।।
নাচে নাচে হাছন রাজা প্রেমে মাতাল হইয়া ।
আমি যাইমু ও যাইমু আল্লাহর সঙ্গে
জুলুম নিয়ে উক্তি – প্রিয় বন্ধুরা আজকে আমরা আপনাদের জন্য শেয়ার করবো জুলুম নিয়ে উক্তি ও বানী। আশাকরছি আপনাদের অনেক ভালো লাগবে। আর ভালো লাগলে আপনার শেয়ার করুন আপনার কাছের মানুষের সাথে। আমাদের সাথে থাকার জন্য আন্তরিক ভাবে ধন্যবাদ আপনাকে। চলুন শুরু করি।
আরো দেখুন- অত্যাচারী নিয়ে উক্তি
উপরে আপনাদের জন্য কিছু জনপ্রিয় জুলুম নিয়ে উক্তি শেয়ার করলাম। সামনে অন্য কোনো বিষয়ে উক্তি শেয়ার করবো। সে পর্যন্ত ভালো থাকুন। ধন্যবাদ
হিন্দু ভারত, জৈন ভারত, বৌদ্ধ ভারত, খ্রিস্টান ভারত,
এতগুলো ভারতের মাঝে দাঁড়িয়ে
আমি ফিরোজা একটি ভারতীয় মেয়ে ।
আপনারা বলতে পারেন, আমি কি দোষ করেছি ?
পৃথিবীর যে কোন দেশের
যে কোন একটি মেয়ের মতো আমি একজনকে
ভালবেসেছিলাম ।
প্রথম যেদিন ওর চোখে চোখ পড়েছিল আমার
আমি জানতাম না ও কে
বিকেল বেলার কলেজ ক্যাম্পাসে যে আলো এসে পড়েছিল
ওর চুলে, তার কোথাও লেখা ছিল ওর ধর্ম ।
হিন্দু ভারত, জৈন ভারত, বৌদ্ধ ভারত, খ্রিস্টান ভারত
আপনারা বলতে পারেন আমি কি দোষ করেছি ?
আমি যেদিন হাতে মোমবাতি নিয়ে উঠে দাঁড়ালাম
আমি যেদিন বলে ফেললাম, আমি শরিয়ৎ মানি না
আমি যেদিন বুঝিয়ে দিলাম ভারতবর্ষের মাটিকে
মা বলে জানি, ভারতবর্ষের আকাশকে আকাশ
সেদিন থেকেই শুরু হল অত্যাচার ।
হিন্দু ভারত, জৈন ভারত, বৌদ্ধ ভারত, খ্রিস্টান ভারত
আপনারা বলতে পারেন, আমি কি দোষ করেছি
ছেলেটাতো আপনাদের
সে কি দোষ করল ?
আমাকে ভালবাসাই তার দোষ ?
ছেলেটার বাড়িতে আপনারা ঢিল ছুঁড়লেন
পার্সেল করে ছেঁড়া চটি পাঠালেন
ওকে হাতে মেরে, ভাতে মেরে
বাড়ির দেয়ালে বড় বড় করে লিখে দিলেন,
‘এসব চলবে না।’
লজ্জা করে না আপনাদের, আপনারা এগিয়ে থাকা মানুষ
এম এ পাশ, বি এ পাশ, ডাক্তার, এঞ্জিনিয়র
আমলা, মাস্টার, আপনারাই গণতন্ত্র নিয়ে ভাষণ দেন
আর প্রয়োজন মতো
গণতন্ত্রের টুঁটি টিপে ধরেন ।
ধিক আপনাদের !
আমি কি ছোটবেলায় ভোরের আলোয় সরস্বতী পুজোর ফল
. কাটিনি ?
আমি কি স্কুলের বারান্দায় বসে
রাত জেগে আলপনা দিইনি ?
আমি কি পাশের বাড়ির হিন্দু বাবার জন্য রক্ত দিইনি ?
ওদের বাড়ির উঠোনে বসে ওদের ছেলেদের অ আ ক খ
. শেখাইনি ?
আমি আরবি শিখিনি, ফারসি শিখিনি, উর্দু শিখিনি
বাংলাই আমার ভাষা, এই ভাষা আমার ভাত, আমার রুটি
আমার চোখের কাজল, আমার পায়ের ঘুঙুর ।
এই ভাষা আমার গোপন চিঠি, যার অক্ষরে অক্ষরে লেগে আছে
আমার চোখের জল ।
আমরা যেদিন বিয়ে করি
সেদিন কফিহাউস গিয়েছিলাম, ও সেদিন
আমাকে ঝোলা ভর্তি করে রবীন্দ্রনাথ কিনে দিয়েছিল
হাওড়া স্টেশনে পৌঁছে কানে কানে রবীন্দ্রনাথ বলেছিলেন
ফিরোজা, তুমি আমার মৃন্ময়ী, তুমি আমার লাবণ্য
তুমি আমার সুচরিতা ।
সেদিন রাত্রে কি হয়েছিল জানি না
কি ঘটেছিল ওদের বাড়িতে, কি ঘটেছিল ওদের পাড়ায়, কি
. করেছিল ওদের
বাবাকাকা – সেটা আজও আমি জানি না
কিন্তু তার পরের দিন ওকে আর কোথাও খুঁজে পাওয়া যায়নি
ও কোথায় চলে গেল আমি জানতে পারিনি ।
এই আপনাদের ভারতবর্ষ ?
এই আমাদের ভারতবর্ষ ?
আমি একজন সাধারণ মেয়ে
অথচ বাড়িতে পাড়ায় অফিসে পুজোর প্যান্ডেলে
বিয়ে বাড়িতে অন্নপ্রাশনে এখনো আমাকে নিয়ে ফিসফাস
ডাক্তারের কাছে যাই – ফিসফাস
কলেজে ঢুকি – ফিসফাস
বাজারে যাই – ফিসফাস
যে হাউসিং –এ থাকি সেখানেও চলতে থাকে অবিরাম লুকোচুরি ।
ওটা লুকোচুরি নয়, ওটা ফিসফাস নয়
ওটা আপনাদের গভীরে লুকিয়ে থাকা এক-একটা সুপ্ত গুজরাট ।
যদি আপনাদের হৃদয়
বড় না করেন
আকাশের দিকে আপনারা যদি না তাকান
এই পোড়া দেশে আরও, আরও, আরও
অনেকগুলো পোড়া গুজরাট তৈরি হবে ।
প্রিয় বন্ধুরা আজকে আমরা আপনাদের জন্য শেয়ার করবো খোলা চুল নিয়ে ক্যাপশন ও বানী। আশাকরছি আপনাদের অনেক ভালো লাগবে। আর ভালো লাগলে আপনার শেয়ার করুন আপনার কাছের মানুষের সাথে। আমাদের সাথে থাকার জন্য আন্তরিক ভাবে ধন্যবাদ আপনাকে। চলুন শুরু করি।
হারানোর জন্য তোমার খোলা চুল এবং চোখের কাজল যথেষ্ট
কোনো এক পড়ন্ত বিকেলে বারান্দায় দাঁড়িয়ে
রেশমি কালো চুলের ঢেউ মুগ্ধ করে আমাকে
“খুলে দাও তুমি এই চুলের বাঁধন
অবাধ্য হয়ে না হয় সে বাতাসেই উড়ুক “।
খোলা চুল তুমি বলে দাও
কেনো মুগ্ধ না হবে কেউ তোমার মায়ায়”।
“ইচ্ছে হয় হাড়িয়ে যাই
ওই খোলা চুলের গভীরতায়”।
আমি আমার মুখমন্ডলে সতেজ বাতাসের অনুভূতি এবং আমার চুল দিয়ে বাতাস বয়ে যাওয়াকে ভালোবাসি।
– ইভেল নিভেল
চুল হলো মেয়েদের সবচেয়ে দামী অলঙ্কার।
– মার্টিন লুথার
উপরে আপনাদের জন্য কিছু জনপ্রিয় খোলা চুল নিয়ে ক্যাপশন, বাণী শেয়ার করলাম। সামনে অন্য কোনো বিষয়ে উক্তি শেয়ার করবো। সে পর্যন্ত ভালো থাকুন। ধন্যবাদ
প্রিয় বন্ধুরা আজকে আমরা আপনাদের জন্য শেয়ার করবো কাদানো নিয়ে উক্তি ও বানী। আশাকরছি আপনাদের অনেক ভালো লাগবে। আর ভালো লাগলে আপনার শেয়ার করুন আপনার কাছের মানুষের সাথে। আমাদের সাথে থাকার জন্য আন্তরিক ভাবে ধন্যবাদ আপনাকে। চলুন শুরু করি।
বড় অবেলায় পেলাম তোমায়, কেন এখনি
যাবে হারিয়ে? কি করে বলোরবো একলা?
ফিরে দেখো আছি দাঁড়িয়ে।কেন হঠাৎ
তুমি এলে? কেন নয় তবে পুরোটা জুড়ে?
আজ পেয়েও হারানো যায়না মানা
বাঁচার মানে টার য়ে যায় অজানা।
আমি চাইলেই তোমার জীবন কে দুখের
সাগরে ভাসিয়ে দিতে পারতাম শুধু তোমাকে
ভালোবাসি বলে সেটা পারিনি কিন্তু তুমি
পেরেছো কারণ তুমি তো আমাকে কখনো ভালোবাসনি
জীবন থেকে যদি ফেলে আসা দিন গুলো মুছে
ফেলা যেতো তাহলে তোমার জন্যে আর
কস্ট পেতে হতো না আমি তোমাকে
ছারাই সুখী হতে পারতাম
পৃথিবীতে কিছু কিছু মানুষ সম্ভবত কষ্ট
পাওয়ার জন্য জন্ম নেয়। টাকা পয়সার
কষ্টনা, মানসিক কষ্ট।।সময়ের সাথে সাথে
কাউকে ধরে রাখা যায়না।কেউ থাকেনা, কথা রাখেনি।
পাগলি তুই ফিরে আয়, আজো আছি তোর
অপেক্ষায়।নিরবে দাঁড়িয়ে ঐ দূরে খোঁজে
ফিরি শুধুই তোকে।দিশাহারা আজ এই
মাতাল হাওয়া, বইছে মোর বুকে।তবু তোর
জন্য এ হৃদয়, অষ্ট প্রদীপ জ্বেলে রেখেছে।
ফিরে তুইনা এলে, অষ্ট প্রদীপ যে যাবে নিভে।
এক ফোটা চোখের জল ঝরার চেয়ে এক
ফোটা রক্ত ঝরা অনেক ভালো।কারন, এক
ফোটা রক্ত বের হতে হালকা ব্যথা লাগে
আর এক ফোটা চোখের জল পুরো
হৃদয় ছিড়ে বের হয়।
স্বপ্ন ছিলো রাশি রাশি মিত্যা ভালোবাসা।
তাই তো জানি তোমার জন্য চোখের জলে
বাসা এতো ভালোবাসি তোরে বাসলিনা কেন বল।
উপরে আপনাদের জন্য কিছু জনপ্রিয় কাদানো নিয়ে উক্তি শেয়ার করলাম। সামনে অন্য কোনো বিষয়ে উক্তি শেয়ার করবো। সে পর্যন্ত ভালো থাকুন। ধন্যবাদ
প্রিয় বন্ধুরা আজকে আমরা আপনাদের জন্য শেয়ার করবো মেঘ নিয়ে ক্যাপশন। আশাকরছি আপনাদের অনেক ভালো লাগবে। আর ভালো লাগলে আপনার শেয়ার করুন আপনার কাছের মানুষের সাথে। আমাদের সাথে থাকার জন্য আন্তরিক ভাবে ধন্যবাদ আপনাকে। চলুন শুরু করি।
উপরে আপনাদের জন্য কিছু জনপ্রিয় মেঘ নিয়ে ক্যাপশন – Megh Niye Caption শেয়ার করলাম। সামনে অন্য কোনো বিষয়ে উক্তি শেয়ার করবো। সে পর্যন্ত ভালো থাকুন। ধন্যবাদ
আজকে আমরা আপনাদের জন্যMaa Shayari Bengali নিয়ে কিছু Shayari শেয়ার করবো আশাকরি ভালো লাগবে। আর ভালো লাগলে আপনার কাছের মানুষদেরে সাথে শেয়ার করুন। আমাদের সাথে থাকার জন্য আন্তরিক ভাবে ধন্যবাদ।
মায়ের গায়ে একটা গন্ধ থাকে ,ঘামে ভেজা
হোক কিংবা কোনো সুগন্ধির হোক ;
সুনির্দিষ্ট একটা ঘ্রাণ।
শুধু সন্তানরাই সে গন্ধ পায়।”
“ছেলেবেলায় আমায় যখন গান গেয়ে মা ঘুম পারতো , মায়ের দুটি চোখের পাতা জলে তখন কে ভেজাতো ?
কি কারণে কাঁদে যে মা, বুঝিনিতো !
“মায়ের স্নেহ, মায়ের ভালোবাসা, মায়ের আশীর্বাদই জীবনের শ্রেষ্ঠ সম্পদ, জ্ঞানে বা অজ্ঞানে কখনো যদি তাকে অবহেলা করে থাকো, তবুও ক্ষমাসুন্দর মা ই এ জীবনে সবচেয়ে আপন।”
Read Also –
“একটা আঙুলের ছোয়ায় সব বাধা পার
এক আঁচলের পালিশ সারা পৃথিবী পরিষ্কার
খেয়েছিস? এত দেরি কেন হল?
খবর কে নেবে আর ?”
“মায়ের হাতের শুকনো মুড়ি
হার মানে পোলাও লুচি
তোমার পায়ের ধুলো মাগো
ধুলো নয়তো হীরের কুচি “
“মা গো তোমার ডাকে দেব সারা
তাইতো আমি জাগি
মাগো আমি জানি তুমি তন্দ্রা হারা
জাগো আমার লাগি
তাইতো আমি জাগি। “
এতো সহজেই ভালোবেসে ফেলি কেন!
বুঝি না আমার রক্তে কি আছে নেশা-
দেবদারু-চুলে উদাসী বাতাস মেখে
স্বপ্নের চোখে অনিদ্রা লিখি আমি,
কোন বেদনার
বেনোজলে ভাসি সারাটি স্নিগ্ধ রাত?
সহজেই আমি ভালোবেসে ফেলি,
সহজে ভুলিনা কিছু-
না-বলা কথায় তন্ত্রে তনুতে পুড়ি,
যেন লাল ঘুড়ি একটু বাতাস পেয়ে
উড়াই নিজেকে আকাশের পাশাপাশি।
সহজে যদিও ভালোবেসে ফেলি
সহজে থাকি না কাছে,
পাছে বাঁধা পড়ে যাই।
বিস্মিত তুমি যতোবার টানো বন্ধন-
সুতো ধ’রে,
আমি শুধু যাই দূরে।
আমি দূরে যাই-
স্বপ্নের চোখে তুমি মেখে নাও ব্যথা-
চন্দন চুয়া,
সারাটি রাত্রি ভাসো উদাসীন
বেদনার বেনোজলে…
এতো সহজেই ভালোবেসে ফ্যালো কেন?
শ্রীচরণেষু,
আমাকে আপনি চিনবেন না । হয়তো বা চিনবেন ।
আপনার অনেক পরে আমার জন্ম । তবু
আরও দশজনের মতো আমিও আপনার কথা জানি
জানি আপনার দুঃসাহসিক পতিব্রতা স্ত্রী হয়ে ওঠার কথা
আপনার গুণধর ছেলেদের কথা… আরও যা যা
জানা প্রয়োজন মোটামুটি সবই জানি
একসময় আপনার কথা পড়তে পড়তে অভিভূত হয়ে গেছি
সে অনেককাল আগেকার কথা তারপর
ভাগীরথী দিয়ে অনেক জল বয়ে গেছে
অনেক ঝড় বয়ে গেছে আমার শরীর বেয়েও
আর আজ যে শতাব্দীতে দাঁড়িয়ে আছি
এই শতাব্দীতে দাঁড়িয়ে হাজার হাজার মেয়েদের
দুরবস্থার জন্য আপনাকেই দায়ী করতে ইচ্ছে করছে
সেদিন আপনার অন্ধ স্বামী দেখে নিজেও
চোখে কাপড় বেঁধে অন্ধ সেজে বসলেন
খুবই মহত্ততার পরিচয় দিয়েছেন আপনি
কিন্তু যে ভুলটা করেছেন তার মাশুল যে
সমস্ত ভাবীকাল জুড়ে আমাকে বইতে হচ্ছে
তার জবাব কে দেবে ?
আপনার একশো সন্তান । একটাকেও
মানুষ তৈরি করেননি, তাঁদের কোন অন্যায়ের
প্রতিবাদ করেননি মা হয়ে । দ্যুত সভায়
সর্বসমক্ষে দ্রৌপদীর বিবস্ত্রা হবার কথা
শুনেও কিছু বলেননি । আপনার স্বামী
অন্যায়ের পথে চলেছে জেনেও তাঁকে সেই পথ থেকে
নিরস্ত করেননি—
কীসের মহীয়সী আপনি ?
একজন নারী হয়েও নারীর সন্মান রক্ষা করলেন না
আমি বলব সে সন্মানহানি আপনারও হয়েছে !
আজ আপনার সেই ছেলেরা
সেই একশো ছেলে এখন
একশো কোটি ছাড়িয়ে গেছে
যেখানে সেখানে তাঁরা বোমাবাজি করছে
গুলি ছুঁড়ছে (আপনাদের সময়ের তীর ধনুকের আধুনিক সংস্করণ)
রাস্তা-ঘাটে, হাটে-বাজারে, দিনে-দুপুরে
রাতের আঁধারে শত শত দ্রৌপদীর বলাৎকার করছে
আর এই এতো কিছুর মাঝেও
আজও আপনি চোখে কাপড় বেঁধে থাকবেন ?
আপনি নয় রাজমাতা ছিলেন
বিপদের আঁচড় পাননি কোনদিনও
তাই সব কিছু সইতে পেরেছেন
মহান পতিব্রতা হতে পেরেছেন
কিন্তু আমি ? আমার মেয়েরা ? কতকাল
কতকাল সইতে হবে ?
কতকাল কাপড় বেঁধে থাকবো চোখে
আর অন্ধের অভিনয় করে যাবো ?
গান্ধারী দেবী
আপনার নামে আজও মেয়েরা
মাথায় হাত ঠেকিয়ে প্রণাম করে
আপনার আদর্শ নিয়ে বাঁচতে গিয়ে
পতিব্রতা হতে গিয়ে হাজার হাজার মেয়ে বৌ
বলি হয়ে গেছে যাদের হাতে
তাঁরা আর কেউ নয়
আপনারই নির্লজ্জ সন্তান
জানিনা সেই সময় আপনার অনুশোচনা
হত কিনা । রাত্রে কাঁদতেন কিনা ।
চোখ থেকে জল গড়িয়ে পড়ত কিনা বেদনায়
জানি না তাও…
কিন্তু আমি কাঁদি
কাঁদতে তো আপনারাই শিখিয়েছেন
শিখিয়েছেন মুখ বুজে সহ্য করতেও
কিন্তু সব সহ্যের সীমা যেদিন ছাড়িয়ে যাবে
সেদিন প্রতিবাদের পথ একটাই খোলা থাকবে
কড়িকাঠ থেকে ঝুলে পড়ার প্রতিবাদ
গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরানোর প্রতিবাদ
গলায় কলসী বেঁধে জলে ঝাঁপিয়ে পড়ার প্রতিবাদ…
তাও তো আপনারাই শিখিয়ে আসছেন
. যুগ যুগ ধরে…
জানি না এ চিঠি আপনার কাছে পৌঁছবে কিনা
নাকি মাঝপথে দুর্যোধন দুঃশাসনের মতো
লোকের হাতে পড়ে বিবস্ত্রা হয়ে যাবে কিনা অথবা
আগুনে জ্বলে পুড়ে ছাই হয়ে যাবে কিনা
জানি না তাও ।
তবু লিখলাম কারণ প্রয়োজন পড়ে গেল
সেইসব মেয়েগুলোর কথা ভেবে যারা
আমার মতন আপনাকে আজও বিশ্বাস করে
যাইহোক ভালো থাকবেন ।
চিঠি পেলে অন্তত একবার পড়ে দেখবেন ।
ইতি—
ভারতবর্ষ