Islamic Quotes Bangla – প্রিয় বন্ধুরা আজকে আমরা আপনাদের জন্য শেয়ার করবো Islamic Quotes Bangla ও বানী। আশাকরছি আপনাদের অনেক ভালো লাগবে। আর ভালো লাগলে আপনার শেয়ার করুন আপনার কাছের মানুষের সাথে। আমাদের সাথে থাকার জন্য আন্তরিক ভাবে ধন্যবাদ আপনাকে। চলুন শুরু করি।
উপরে আপনাদের জন্য কিছু জনপ্রিয় Islamic Quotes Bangla শেয়ার করলাম। সামনে অন্য কোনো বিষয়ে উক্তি শেয়ার করবো। সে পর্যন্ত ভালো থাকুন। ধন্যবাদ
রোজা নিয়ে কিছু কথা – প্রিয় বন্ধুরা আজকে আমরা আপনাদের জন্য শেয়ার করবো রোজা নিয়ে কিছু কথা ও বানী। আশাকরছি আপনাদের অনেক ভালো লাগবে। আর ভালো লাগলে আপনার শেয়ার করুন আপনার কাছের মানুষের সাথে। আমাদের সাথে থাকার জন্য আন্তরিক ভাবে ধন্যবাদ আপনাকে। চলুন শুরু করি।
১। হে মুমিনগণ! তোমাদের জন্য সিয়াম ফরজ করা হল, যেমন ফরজ করা হয়েছিল তোমাদের পূর্ববর্তীদের উপর, যেন তোমরা মুত্তাকী হতে পার-(আল-বাকারাহ্ঃ ১৮৩)
২। (রোযা) নির্দিষ্ট কয়েকটি দিনের জন্য, অতঃপর তোমাদের মধ্যে যে পীড়িত কিংবা মুসাফির সে অন্য সময় এ সংখ্যা পূরণ করে নেবে এবং শক্তিহীনদের উপর কর্তব্য হচ্ছে ফিদইয়া প্রদান করা, এটা একজন মিসকীনকে অন্নদান করা এবং যে ব্যক্তি নিজের খুশীতে সৎ কাজ করতে ইচ্ছুক, তার পক্ষে তা আরও উত্তম আর সে অবস্থায় রোযা পালন করাই তোমাদের পক্ষে উত্তম, যদি তোমরা বুঝ।- (আল – বাকারাহঃ ১৮৪)
৩। সিয়ামের রাতে তোমাদের জন্য তোমাদের স্ত্রীদের নিকট গমন হালাল করা হয়েছে। তারা তোমাদের জন্য পরিচ্ছদ এবং তোমরা তাদের জন্য পরিচ্ছদ।- (আল বাকারাহঃ ১৮৭)
৪। আল্লাহ বলেন, ‘‘রাতের আগমন পর্যন্ত সিয়াম পূর্ণ কর’’— (আল-বাকারাহ : ১৮৭)
৫। আর যারা তাদের স্ত্রীদের সাথে ‘যিহার’ করে অতঃপর তারা যা বলেছে তা থেকে ফিরে আসে, তবে একে অপরকে স্পর্শ করার পূর্বে একটি দাস মুক্ত করবে। এর মাধ্যমে তোমাদেরকে উপদেশ দেয়া হচ্ছে। আর তোমরা যা কর, সে সম্পর্কে আল্লাহ সম্যক অবহিত।কিন্তু যে তা পাবে না, সে লাগাতার দু’মাস সিয়াম পালন করবে, একে অপরকে স্পর্শ করার পূর্বে।— (আল – মুজাদালাঃ ৩-৪)
৬। ‘আয়িশাহ্ (রাযি.) হতে বর্ণিত যে, জাহিলী যুগে কুরায়শগণ ‘আশূরার দিন সওম পালন করত। আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -ও পরে এ সওম পালনের নির্দেশ দেন। অবশেষে রমাযানের সিয়াম ফরজ হলে আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ যার ইচ্ছা ‘আশূরার সিয়াম পালন করবে এবং যার ইচ্ছা সে সওম পালন করবে না।— (হাদিস নং – ১৮৯৩)
৭। ইবনু ‘উমার (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ‘আশূরার দিন সিয়াম পালন করেছেন এবং এ সিয়ামের জন্য আদেশও করেছেন। পরে যখন রমাযানের সিয়াম ফরজ হল তখন তা ছেড়ে দেওয়া হয়। ‘আবদুল্লাহ (রহ.) এ সিয়াম পালন করতেন না, তবে মাসের যে দিনগুলোতে সাধারণত সিয়াম পালন করতেন, তার সাথে মিল হলে করতেন।— (হাদিস নং – ১৮৯২)
৮। আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ সিয়াম ঢাল স্বরূপ। সুতরাং অশ্লীলতা করবে না এবং মূর্খের মত কাজ করবে না। যদি কেউ তার সাথে ঝগড়া করতে চায়, তাকে গালি দেয়, তবে সে যেন দুই বার বলে, আমি সওম পালন করছি। ঐ সত্তার শপথ, যাঁর হাতে আমার প্রাণ, অবশ্যই সওম পালনকারীর মুখের গন্ধ আল্লাহর নিকট মিসকের সুগন্ধির চাইতেও উৎকৃষ্ট, সে আমার জন্য আহার, পান ও কামাচার পরিত্যাগ করে। সিয়াম আমারই জন্য। তাই এর পুরস্কার আমি নিজেই দান করব। আর প্রত্যেক নেক কাজের বিনিময় দশ গুণ।— (হাদিস নং – ১৮৯৪)
৯। সাহল (রাঃ) হতে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ জান্নাতে রাইয়্যান নামক একটি দরজা আছে। এ দরজা দিয়ে কিয়ামতের দিন সওম পালনকারীরাই প্রবেশ করবে। তাদের ব্যতীত আর কেউ এ দরজা দিয়ে প্রবেশ করতে পারবে না।— (হাদিস নং – ১৮৯৬)
১০। আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যখন রমাযান আসে তখন জান্নাতের দরজাসমূহ উন্মুক্ত করে দেয়া হয়।— (হাদিস নং – ১৮৯৮)
১১। আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলতেন, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ রমাযান আসলে আসমানের দরজাসমূহ খুলে দেয়া হয় এবং জাহান্নামের দরজাসমূহ বন্ধ করে দেয়া হয় আর শয়তানগুলোকে শিকলবন্দী করে দেয়া হয়।— (হাদিস নং – ১৮৯৯)
১২। ইবনু ‘উমার (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -কে বলতে শুনেছি, যখন তোমরা তা (চাঁদ) দেখবে তখন সওম রাখবে, আবার যখন তা দেখবে তখন ইফ্তার করবে। আর যদি আকাশ মেঘলা থাকে তবে সময় হিসাব করে (ত্রিশ দিন) পূর্ণ করবে।— (হাদিস নং – ১৯০০)
১৩। আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে ব্যক্তি লাইলাতুল ক্বদ্রে ঈমানের সাথে সাওয়াবের আশায় রাত জেগে ‘ইবাদত করে, তার পিছনের সমস্ত গোনাহ ক্ষমা করা হবে। আর যে ব্যক্তি ঈমানসহ সওয়াবের আশায় রমাযানে সিয়াম পালন করবে, তারও অতীতের সমস্ত গোনাহ মাফ করা হবে।— (হাদিস নং – ১৯০১)
১৪। ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ধন-সম্পদ ব্যয় করার ব্যাপারে সকলের চেয়ে দানশীল ছিলেন। রমাযানে জিবরাঈল (আঃ) যখন তাঁর সঙ্গে সাক্ষাত করতেন, তখন তিনি আরো অধিক দান করতেন। রমাযান শেষ না হওয়া পর্যন্ত প্রতি রাতেই জিবরাঈল তাঁর সঙ্গে একবার সাক্ষাত করতেন। আর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁকে কুরআন শোনাতেন। জিবরাঈল যখন তাঁর সঙ্গে সাক্ষাত করতেন তখন তিনি রহমতসহ প্রেরিত বায়ুর চেয়ে অধিক ধন-সম্পদ দান করতেন।— (হাদিস নং – ১৯০১)
১৫। আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে ব্যক্তি মিথ্যা বলা ও সে অনুযায়ী আমল বর্জন করেনি, তার এ পানাহার পরিত্যাগ করায় আল্লাহর কোন প্রয়োজন নেই।— (হাদিস নং – ১৯০৩)
১৬। আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ আল্লাহ তা‘আলা বলেছেন, সওম ব্যতীত আদম সন্তানের প্রতিটি কাজই তার নিজের জন্য, কিন্তু সিয়াম আমার জন্য। তাই আমি এর প্রতিদান দেব। সিয়াম ঢাল স্বরূপ। তোমাদের কেউ যেন সিয়াম পালনের দিন অশ্লীলতায় লিপ্ত না হয় এবং ঝগড়া-বিবাদ না করে। যদি কেউ তাকে গালি দেয় অথবা তার সঙ্গে ঝগড়া করে, তাহলে সে যেন বলে, আমি একজন সায়িম। ‘— (হাদিস নং – ১৯০৪)
১৭। ‘আলকামাহ (রহ.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি ‘আবদুল্লাহ (রাঃ)-এর সঙ্গে চলতে ছিলাম, তখন তিনি বললেন, আমরা আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর সাথে ছিলাম, তিনি বললেনঃ যে ব্যক্তির সামর্থ্য আছে, সে যেন বিয়ে করে নেয়। কেননা বিয়ে চোখকে অবনত রাখে এবং লজ্জাস্থানকে সংযত করে। আর যার সামর্থ্য নেই, সে যেন সওম পালন করে। সওম তার প্রবৃত্তিকে দমন করে।— (হাদিস নং – ১৯০৫)
১৮। ‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘উমার (রাঃ) হতে বর্ণিত। আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ মাস ঊনত্রিশ রাত বিশিষ্ট হয়। তাই তোমরা চাঁদ না দেখে সওম শুরু করবে না। যদি আকাশ মেঘাবৃত থাকে তাহলে তোমরা ত্রিশ দিন পূর্ণ করবে।— (হাদিস নং – ১৯০৭)
২০। আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তোমরা কেউ রমাযানের একদিন কিংবা দু’দিন আগে হতে সওম শুরু করবে না। তবে কেউ যদি এ সময় সিয়াম পালনে অভ্যস্ত থাকে তাহলে সে সেদিন সওম পালন করতে পারবে।— (হাদিস নং – ১৯১৪)
২১। ‘আয়িশাহ (রাযি.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, বিলাল (রাঃ) রাতে আযান দিতেন। তাই আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেনঃ ইবনু উম্মু মাকতূম (রাঃ) আযান না দেয়া পর্যন্ত তোমরা পানাহার কর। কেননা ফজর না হওয়া পর্যন্ত সে আযান দেয় না।— (হাদিস নং – ১৯১৮)
২২। যায়দ ইবনু সাবিত (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমরা আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর সঙ্গে সাহরী খাই এরপর তিনি সালাতের জন্য দাঁড়ান। বর্ণনাকারী বলেন, আমি জিজ্ঞেস করলাম, আযান ও সাহরীর মাঝে কতটুকু ব্যবধান ছিল? তিনি বললেন, পঞ্চাশ আয়াত (পাঠ করা) পরিমাণ।— (হাদিস নং – ১৯২১)
২৩। ‘আবদুল্লাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একটানা সওম পালন করতে থাকলে লোকেরাও একটানা সওম পালন করতে শুরু করে। এ কাজ তাদের জন্য কষ্টকর হয়ে দাঁড়াল। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাদের নিষেধ করলেন। তারা বলল, আপনি যে এক নাগাড়ে সওম পালন করছেন? তিনি বললেনঃ আমি তো তোমাদের মত নই। আমাকে খাওয়ানো হয় ও পান করানো হয়।— (হাদিস নং – ১৯২২)
২৪। সালমা ইবনু আকওয়া (রহ.) হতে বর্ণিত যে, ‘আশূরার দিন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এক ব্যক্তিকে এ বলে লোকদের মধ্যে ঘোষণা দেয়ার জন্য পাঠালেন যে, যে ব্যক্তি খেয়ে ফেলেছে সে যেন পূর্ণ করে নেয় অথবা বলেছেন, সে যেন সওম আদায় করে নেয় আর যে এখনো খায়নি সে যেন আর না খায়।— (হাদিস নং – ১৯২৪)
২৫। আবুল ইয়ামান (রহ.) মারওয়ান (রহ.) হতে বর্ণিত যে, ‘আয়িশাহ্ (রাযি.) এবং উম্মু সালামাহ (রাযি.) তাকে সংবাদ দিয়েছেন যে, নিজ স্ত্রীর সাথে মিলনজনিত জুনূবী অবস্থায় আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর ফজরের সময় হয়ে যেত। তখন তিনি গোসল করতেন এবং সওম পালন করতেন।— (হাদিস নং – ১৯২৫-১৯২৬)
২৬। ‘আয়িশাহ্ (রাযি.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সওমের অবস্থায় চুমু খেতেন এবং গায়ে গা লাগাতেন। তবে তিনি তার প্রবৃত্তি নিয়ন্ত্রণে তোমাদের চেয়ে অধিক সক্ষম ছিলেন।— (হাদিস নং – ১৯২৭)
২৭। আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ সওম পালনকারী ভুলক্রমে যদি আহার করে বা পান করে ফেলে, তাহলে সে যেন তার সওম পুরা করে নেয়। কেননা আল্লাহই তাকে পানাহার করিয়েছেন।— (হাদিস নং – ১৯৩৩)
২৮। ‘আয়িশাহ্ (রাযি.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, এক ব্যক্তি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর কাছে এসে বলল যে, সে তো জ্বলে গেছে। তিনি বললেনঃ তোমার কি হয়েছে? লোকটি বলল, রমাযানে আমি স্ত্রী সহবাস করে ফেলেছি। এ সময় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর কাছে (খেজুর ভর্তি) ঝুড়ি এল, যাকে ‘আরাক (১৫ সা‘ পরিমাণ) বলা হয়। তখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ অগ্নিদগ্ধ লোকটি কোথায়? লোকটি বলল, আমি। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ এ গুলো সদাকাহ করে দাও।— (হাদিস নং – ১৯৩৫)
২৯।‘আয়িশাহ্ (রাযি.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম প্রথমে ‘আশূরার দিনে সওম পালনের নির্দেশ দিয়েছিলেন, পরে যখন রমাযানের সওম ফরজ করা হলো তখন যার ইচ্ছা (‘আশূরার) সওম পালন করত আর যার ইচ্ছা করত না।— হাদিস নং – ২০০১
৩০। ‘আয়িশাহ্ (রাযি.) হতে বর্ণিত যে, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: সওমের কাযা যিম্মায় রেখে যদি কোন ব্যক্তি মারা যায় তাহলে তার অভিভাবক তার পক্ষ হতে সওম আদায় করবে।— (হাদিস নং – ১৯৫২)
৩১। উমার ইবনু খাত্তাব (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যখন রাত্র সে দিক হতে ঘনিয়ে আসে ও দিন এ দিক হতে চলে যায় এবং সূর্য ডুবে যায়, তখন সায়িম ইফতার করবে।— হাদিস নং – ১৯৫৪
৩২। সাহল ইবনু সা‘দ (রাঃ) হতে বর্ণিত যে, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ লোকেরা যতদিন শীঘ্র ইফতার করবে [1], ততদিন তারা কল্যাণের উপর থাকবে।— হাদিস নং – ১৯৫৭
৩৩। আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমার বন্ধু সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে তিনটি বিষয়ে নির্দেশ দিয়েছেন, প্রতি মাসে তিন দিন করে সওম পালন করা এবং দু‘রাক‘আত সালাতুয-যুহা এবং ঘুমানোর পূর্বে বিতর সালাত আদায় করা।— হাদিস নং – ১৯৮১
৩৪। আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, দু’ (দিনের) সওম ও দু’ (প্রকারের) ক্রয়-বিক্রয় নিষেধ করা হয়েছে, ঈদুল ফিতর ও কুরবানীর (দিনের) সওম এবং মুলামাসা ও মুনাবাযা (পদ্ধতিতে ক্রয়-বিক্রয়) হতে।— হাদিস নং – ১৯৯৩
৩৫। আয়িশাহ্ (রাযি.) ও ইবনু ‘উমার (রাঃ) হতে বর্ণিত। তাঁরা উভয়ে বলেন, যাঁর নিকট কুরবানীর পশু নেই তিনি ব্যতীত অন্য কারও জন্য আইয়্যামে তাশরীকে সওম পালন করার অনুমতি দেয়া হয়নি।
— হাদিস নং – ১৯৯৭
৩৬। ইবনু ‘উমার (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, যে ব্যক্তি একই সঙ্গে হাজ্জ ও ‘উমরাহ পালনের সুযোগ লাভ করল সে ‘আরাফাত দিবস পর্যন্ত সওম পালন করবে। সে যদি কুরবানী না করতে পারে এবং সওমও পালন না করে থাকে তবে মিনার দিনগুলোতে সওম পালন করবে।
— হাদিস নং – ১৯৯৯
৩৭। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর স্ত্রী ‘আয়িশাহ্ (রাযি.) হতে বর্ণিত যে, হামযাহ ইবনু ‘আমর আসলামী (রাঃ) অধিক সওম পালনে অভ্যস্ত ছিলেন। তিনি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -কে বললেন, আমি সফরেও কি সওম পালন করতে পারি? তিনি বললেনঃ ইচ্ছা করলে তুমি সওম পালন করতে পার, আবার ইচ্ছা করলে নাও করতে পার।
— (হাদিস নং – ১৯৪৩)
উপরে আপনাদের জন্য কিছু জনপ্রিয় রোজা নিয়ে কিছু কথা শেয়ার করলাম। সামনে অন্য কোনো বিষয়ে উক্তি শেয়ার করবো। সে পর্যন্ত ভালো থাকুন। ধন্যবাদ
জুম্মা মোবারক – প্রিয় বন্ধুরা আজকে আমরা আপনাদের জন্য শেয়ার করবো জুম্মা মোবারক নিয়ে স্ট্যাটাস ও বানী। আশাকরছি আপনাদের অনেক ভালো লাগবে। আর ভালো লাগলে আপনার শেয়ার করুন আপনার কাছের মানুষের সাথে। আমাদের সাথে থাকার জন্য আন্তরিক ভাবে ধন্যবাদ আপনাকে। চলুন শুরু করি।
★নতুন আশা,নতুন দিন, আজকে হল জুমার দিন। লাগছে ভাল ছাড়বো ঘর, মসজিদে যাবো ১২ টার পর। আকাশে সূর্য দিচ্ছে আলো, জুমার নামায পরতে লাগবে ভালো।-সকলকে জুম্মা মোবারক
★নতুন আশা,নতুন দিন, আজকে হল জুমার দিন। লাগছে ভাল ছাড়বো ঘর, মসজিদে যাবো ১২ টার পর। আকাশে সূর্য দিচ্ছে আলো, জুমার নামায পরতে লাগবে ভালো।-সকলকে জুম্মা মোবারক
★হে মুমিনগন,জুমআর দিনে যখন সালাতের আজান দেয়া হয়,তখন তোমরা আল্লাহর স্বরন পানে ত্বরা কর,এবং কেনাবেচা বন্ধ কর,এটা তোমাদের জন্য উত্তম.যদি তোমরা এটা বুঝ !-জুম্মা মোবারক
★মুসলমান যখন মসজিদের দিকে রওনা হয়,সে তার ঘরে ফিরে আসা পর্যন্ত তার প্রতি কদমে আল্লাহ একটি নেকী দান করেন এবং একটি করে গোনাহ মোচন করেন।-হযরত মুহাম্মদ (সাঃ)
★আগেই সালাম দেওয়ার চেষ্টা করো, কেননা আল্লাহ কাছে সর্বাপেক্ষা উত্তম ব্যক্তি হচ্ছে প্রথমে সালাম প্রদানকারী।-হযরত মুহাম্মদ (সাঃ)
★মুসলিম আমার নাম ! কুরআন আমার জান ! নামাজ আমার গাড়ি ! জান্নাত আমার বাড়ী ! আল্লাহ্ আমার রব ! নবী আমার সব ! ইসলাম আমার ধর্ম! এবাদত আমার কর্ম!-জুম্মা মোবারক
★নামাজ রোজা নাহি কাজা করবো না ভাই কভু, নয়তো রাজা দিবেন সাজা যিনি মোদের প্রভু, নামাজ রোজা অনেক সোজা ইচ্ছে যদি করো, মনের মতো সময় মতো নামাজ রোজা করো, পণ করো আজ পড়বো রাখবো সদা রোজা, তা না হলে পরকালে পেতে হবে সাজা, বেহেস্তেতে থাকবো মেতে হবে কত মজা।-জুম্মা মোবারক
★মাটির দেহ নিয়ে কখনও করিওনা বরাই, দুচোখ বন্ধ হলে দেখবে পাশে কেউ নাই। যাকে তুমি আপন ভাবো সে হবে পর, আপন হবে নামাজ,রোজা অন্ধাকার কবর।-জুম্মা মোবারক
★মাটির দেহ নিয়ে কখনও করিওনা বরাই, দুচোখ বন্ধ হলে দেখবে পাশে কেউ নাই। যাকে তুমি আপন ভাবো সে হবে পর, আপন হবে নামাজ,রোজা অন্ধাকার কবর।-জুম্মা মোবারক
★ইসলাম শান্তির ধর্ম। এলেম শিক্ষা করে যে ব্যক্তি পরিতৃপ্ত হতে না পারে, ধনের প্রাচুর্য তাকে কথনও সুখের সন্ধান দিতে পারবে না।-জুম্মা মোবারক
★কারো কাছ থেকে কিছু পেতে হলে যেমন তার সাথে সম্পর্ক ভাল রাখতে হয়। ঠিক তেমন আল্লাহর কাছ থেকে কিছু পেতে হলে, আল্লাহর সাথে সম্পর্ক ভাল রাখতে হবে!!!
★যে ব্যাক্তি আজান শুনে নামাজ পড়বে না কিয়ামতের দিন তাঁর কানে গরম সীসা ঢেলে দেয়া হবে”
★পৃথিবীর সবচেয়ে জটিল অংকের নাম “জীবন”। যে সূত্রেই প্রয়োগ করা হোক না কেন, ফলাফল কিন্তু মৃত্যুই আসবে।
★আমার বান্দাদেরকে বলে দিন, তারা যেন যা উত্তম এমন কথাই বলে। শয়তান তাদের মধ্যে সংঘর্ষ বাধায়। নিশ্চয় শয়তান মানুষের প্রকাশ্য শত্রু। (সুরা বানী ইসরাঈল-৫৩)-জুম্মা মোবারক
★যে ব্যক্তি আল্লাহ ও আখেরাতের উপর ঈমান রাখে, সে যেন উত্তম কথা বলে না হয় চুপ থাকে’।(সহীহ বুখারী)-জুম্মা মোবারক
★মানুষ সব সময় “মৃত্যু” থেকে বাঁচার “চেষ্টা” করে, কিন্তূ জাহান্নাম” থেকে” নয়,অথচ “মানুষ” চাইলে “জাহান্নাম”থেকে” বাঁচতে “পারে” কিন্তু “মৃত্যু” থেকে নয় ।-জুম্মা মোবারক
★“মাগো” আমি শিখব না আর হাট্টিমা টিম টিম, “কোরআন” থেকে শিখব আমি আলিফ -লাম- মীম, ১ টা করে হরফে ১০ টা করে নেকী, চল সবাই আজ থেকে কোরআন হাদীস শিখি-জুম্মা মোবারক
★কিসের আমার বাহাদুরী কিসের অহংকার দম ফুরালে মাটির নিচে বন্ধ হবে দ্বার। এই দুনিয়ার আলো বাতাস লাগবে না আর গায় কে যাবে রে অচিন দেশে পাল তোলা এই নায়। তুমি যাবে আমি যাবো যাবে প্রিয়জন আসা যাওয়া চলছে খেলা থাকবে পড়ে ধন।।-জুম্মা মোবারক
★“অবুঝ শিশুরা যেমন কেঁদে কেঁদে সমস্ত সমস্যার সমাধান করে তার মায়ের কাছে, ঠিক তেমনি ভাবে আমাদের উচিৎ আল্লাহর কাছে কেঁদে কেঁদে সব সমস্যার সমাধান করে নেওয়া।”-জুম্মা মোবারক
★দেখতে চাই স্বপ্ন , থাকতে চাই মগ্ন। হতে চাই কবি, লিখব আমি সবি। বাসতে চাই ভালো, জ্বালাতে চাই ইসলামের আলো।
★.দেখতে চাই স্বপ্ন , থাকতে চাই মগ্ন। হতে চাই কবি, লিখব আমি সবি। বাসতে চাই ভালো, জ্বালাতে চাই ইসলামের আলো।
★“দুনিয়া নিয়ে দুঃশ্চিন্তা করা অন্তর হলো অন্ধকারাচ্ছন্ন, আখিরাত নিয়ে দুঃশ্চিন্তা করা অন্তর হলো আলোকিত”।
★সোনার গাছে হিরার পাতা… ভুলিও না আল্লাহর কথা… টাকা পয়সা কতকাল… জান্নাতে রবে চিরকাল… সাগরের মাঝখানে এক বুক পানি…আমার রব আল্লাহু ই জানি।
উপরে আপনাদের জন্য কিছু জনপ্রিয় জুম্মা মোবারক নিয়ে উক্তি শেয়ার করলাম। সামনে অন্য কোনো বিষয়ে উক্তি শেয়ার করবো। সে পর্যন্ত ভালো থাকুন। ধন্যবাদ
পড়তে পারেন:-
আল্লাহর ভয় নিয়ে উক্তি – প্রিয় বন্ধুরা আজকে আমরা আপনাদের জন্য শেয়ার করবো আল্লাহর ভয় নিয়ে উক্তি ও বানী। আশাকরছি আপনাদের অনেক ভালো লাগবে। আর ভালো লাগলে আপনার শেয়ার করুন আপনার কাছের মানুষের সাথে। আমাদের সাথে থাকার জন্য আন্তরিক ভাবে ধন্যবাদ আপনাকে। চলুন শুরু করি।
১- জ্ঞানের ভিত্তি হলো মহান আল্লাহর প্রতি ভয় (তাকওয়া)।- ইমাম আহমাদ ইবনে হাম্বল (রাহিমাহুল্লাহ)
২- আল্লাহকে ভয় করো, কারণ যে তাকে ভয় করে সে কখনো একাকীত্ব অনুভব করে নাহ।- উমর ইবনুল খাত্তাব (রাঃ)
৩- কোন ব্যক্তির তাকওয়া (আল্লাহভীতি) না থাকলে সে যদি বিবাহিত হয় তবুও দৃষ্টিকে সংযত করে না। তাকওয়াসম্পন্ন মানুষ যদি অবিবাহিতও থাকে, সে তার দৃষ্টিকে সংযত করে।
– ওমর সুলাইমান
৪- একজন মানুষের অন্তর যদি রোগগ্রস্ত না হয় তাহলে সে কোনদিন, কোন অবস্থাতেই আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা’আলা ছাড়া অন্য কাউকে ভয় পাবে না। – ইমাম ইবনে তাইমিয়া (রহঃ)
৫- তোমরা কি আমাকে দারিদ্রতার কথা ভাবিয়ে ভয় দেখাতে চেষ্টা করছ যখন যে একমাত্র বিষয় সুফিয়ান ভয় করে তা হলো এই দুনিয়ার সম্পদ তার উপরে ঢেলে দেয়া হবে।- ইমাম সুফিয়ান আস-সাওরি (রহঃ)
৬- সে-ই প্রকৃত পুরুষ যে আল্লাহর জন্য কাঁদে।- ওমর সুলাইমান
৭- কারো সাথে কথোপকথনে বিনয়ী হওয়াটা একজন ব্যক্তির জন্য আবশ্যক।- ইমাম আল-কুরতুবী (রহিমাহুল্লাহ)
৮- আপনি যখন কোন সৃষ্টিকে ভয় করবেন তখন তার থেকে দূরে পালাতে চেষ্টা করবেন। আপনি যখন আল্লাহকে ভয় করবেন তখন তাকে ভালোবাসবেন এবং তার সাথে ঘনিষ্ট হওয়ার চেষ্টা করবেন।- ইমাম ইবনুল কাইয়্যিম (রাহিমাহুল্লাহ)
৯- যাকে আল্লাহভীতি দান করে সম্মানিত করা হয়নি তার আর কোনো সম্মানই নেই।- ইমাম শাফেয়ী (রহঃ)
১০- আল্লাহর প্রত্যেকটি ফয়সালাই ন্যায়বিচারের ওপর ভিত্তিশীল। সুতরাং কোন অবস্থাতেই অভিযোগের ভাষা যেন তোমার মুখে উচ্চারিত না হয়।- ইমাম গাজ্জালী (রহঃ)
১১- নিজেকে আল্লাহর রাহমাতসমূহের কথা বেশি করে স্মরণ করিয়ে দিন, কেননা যিনি বেশি বেশি স্মরণ করেন তার কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করার সম্ভাবনাও বেশি থাকে।- উমার বিন আবদুল আজিজ (রাহিমাহুল্লাহ)
উপরে আপনাদের জন্য কিছু জনপ্রিয় আল্লাহর ভয় নিয়ে উক্তি শেয়ার করলাম। সামনে অন্য কোনো বিষয়ে উক্তি শেয়ার করবো। সে পর্যন্ত ভালো থাকুন। ধন্যবাদ
★দুনিয়া হলো আখেরাতের শস্যক্ষেত্র। সংগৃহীত
হায়! যদি আখেরাতের জন্য কিছু করতাম। সূরা ফজরঃ ২৪
★আখেরাতে বান্দার জন্য তাকওয়াই সর্বোত্তম পন্থা। হযরত মুহাম্মদ (সাঃ)
★দুনিয়াতে সামান্য কিছুর জন্য আখেরাতকে ভুলে যেও না। সংগৃহীত
★কবর হলো আখিরাত জীবনের প্রথম মনজিল। হযরত ওসমান (রাঃ)
★যারা আল্লাহকে বিশ্বাস করে না তারা আখেরাত হারায় । সংগৃহীত
★মানুষকে সৃষ্টি করা হয়েছে আখেরাতের জন্য, দুনিয়ার জন্য নয়। সংগৃহীত
★দুনিয়ার নেয়ামত অল্প এবং আখেরাতের নেয়ামত অফুরন্ত। সংগৃহীত
★দুনিয়া এমন একটি নদী যার যাত্রী তারাই যার তীরে আখেরাত এবং যার নৌকা তাকওয়া। সংগৃহীত
★এই জীবনের মাধুর্য পাওয়া যায় আল্লাহকে স্মরণে; আখেরাতের মাধুর্য পাওয়া যায় তাকে দর্শনে। ইয়াসির কাদি
★সাহাবাদের অন্তরে দুনিয়ার উপস্থিতি ছিলো শূন্য কিন্তু তাতে আখেরাত ছিলো পরিপূর্ণ। ইবনে রজব আল হানবলী
★নিশ্চয়ই যারা আখিরাতকে বিশ্বাস করে না তারা সঠিক পথ থেকে বহু দূরে রয়েছে। সূরা মুমিনঃ৭৪
★নামাজ পড়, রোজা রাখ, কালেমা পড় ভাই, তোর আখেরের কাজ করে নে সময় যে আর নাই। কাজী নজরুল ইসলাম
★এদের দুনিয়া ও আখেরাতের সমূদয় আমল বিফলে যাবে এবং তাদের কোনো সাহায্যকারী নেই। সূরা ইমরানঃ২২
★যে ব্যক্তি আল্লাহ ও আখেরাতের উপর ঈমান রাখে, সে যেন উত্তম কথা বলে; নইলে চুপ থাকে। বুখারী ও মুসলিম
★দুনিয়া নিয়ে দুঃশ্চিন্তা করা অন্তর অন্ধকারাচ্ছন্ন, আর আখেরাত নিয়ে দুঃশ্চিন্তা করা অন্তর আলোকিত। হযরত উসমান (রাঃ)
★দুনিয়ার প্রেমে আল্লাহকে পাওয়া যায় না, কিন্তু আল্লাহর প্রেমে দুনিয়া ও আখেরাত উভয়ই পাওয়া যায়। সংগৃহীত
★আপনি ন্যায় বিচারে বিশ্বাসী হলে আপনাকে অবশ্যই আখেরাতকে বিশ্বাস করতে হবে। কারণ, এই দুনিয়াটা শুধুমাত্র ন্যায় বিচারের ক্ষেত্রে যথেষ্ট নয়। নোমান আলী খান
★লোকেদের মধ্যে এমনও কিছু লোক আছে, যারা বলে, হে আমাদের প্রভু! ইহকালেও আমাদের কল্যাণ দাও এবং আখেরাতেও কল্যাণ দাও এবং আমাদেরকে দোযখের আযাব হতে রক্ষা কর। সূরা বাকারাঃ২০১
আসসালামু ওয়ালাইকুম, আজকে আপনাদের সাথে শেয়ার করবো অহংকার নিয়ে বাণী ও উক্তি। আশাকরি আপনাদের ভালো লাগবে।
★তিনটি সত্তা মানুষকে ধ্বংস করে দেয়। লোভ, হিংসা ও অহংকার।- ইমাম গাজ্জালি (রঃ)
★অহংকার পতনের মূল।- আল হাদীস
★অহংকার হচ্ছে, সত্যকে উপেক্ষা করা এবং মানুষকে তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করা।- সহিহ মুসলিম
★অহঙ্কার কে সামান্যের মাঝেই রাখো, নতুবা একজন মানুষ হিসেবে নিজের মর্যাদা রাখতে পারবা না।- জন সেলডেন
★অহঙ্কারের মতো বড় শত্রু নেই।- চাণক্য
★লোভী ও অহঙ্কারী মানুষকে বিধাতা সবচেয়ে বেশি ঘৃণা করে।- জন রে
★সবসময় স্মরণ রাখবে যে, তােমার মাথা তােমার টুপির চেয়ে উপরে নয়।- জন লিলি
★বিনয়ী মূর্খ অহংকারী বিদ্বান অপেক্ষা মহত্তর।- জাহাবি
★কোন কারণ ছাড়াই যে অন্যকে ঘৃণা করে, সে প্রকৃতপক্ষে অহংকারী।- মার্শাল
★একজন অহংকারী মহিলা সংসারের পুরো কাঠামো বিনষ্ট করে দেয়।- পিনিরো
★একজন অহংকারী মহিলা গৃহে আগুন লাগাতে পারে।- পাবলিয়াস সিয়াস
★অহংকার এমন এক আবরণ, যা মানুষের সকল মহত্ব আবৃত করে ফেলে।- জাহাবি
★আমি একজন অহংকারীকে যতখানি ঘৃণা করি, একজন দোষীকে ততখানি করি না।- হেনরি ব্রান্ড
★সদুপদেশ গ্রহণ করার জন্য অন্তরে আগ্রহ সৃষ্টি না হওয়া এবং নিজের অভিমত খণ্ডিত হতে দেখেই অন্তরে ক্রোধের সৃষ্টি হওয়ার নামই অহংকার। আত্মপ্রশস্তি ও অহংকার মানুষকে নিম্নস্তরে নিয়ে যায়।- ইমাম গাজ্জালি (রঃ)
★অহংকার সর্বদাই প্রশংসা দাবি করে।- পিয়েরে বইস্টে
★এটাই অহংকারই যা ফেরেশতাদেরকে শয়তান বানিয়েছিল আর মানবতা মানুষকে বানিয়েছিল ফেরেশতা।- সেইন্ট অগাস্টিন
★মানুষের নিজের ভুলগুলোর উপর পর্দা পড়ে যাওয়াই হলো অহংকার।- প্রবাদ
★অহংকার সর্বদাই পতনের আগে এসে থাকে।- স্প্যানিশ প্রবাদ
★অহংকার হলো কে সঠিক তা নিয়ে আর মানবতা হলো কি সঠিক তা নিয়ে।- এজরা টি. বেনসন
★অহংকার জিনিসটা হাতি ঘোড়ার মতো নয়, তাহাকে নিতান্ত অল্প খরচে ও বিনা খোরাকে বেশ মোটা করিয়া পোষা যায়।- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
★আমার জীবনের যেখানে নিশ্চয়তা নাই, তখন কী দিয়ে অহংকার করব? – আর্থার গুইটারম্যান
★এক কথায় নিজের বড়ত্ব জাহির করার অর্থ অহংকার।- হেনরি ফোর্ড
★চরিত্রের অহংকার সবচেয়ে বড় অহংকার।- জেফারসন
★প্রত্যেকটি অহংকারী লোককে দুঃসহ অবস্থার সম্মূখীন হতে হবে।- আরডি মিথ কুক
★গর্বের অবস্থান সকল ভুলের নিচে। -জন রাসকিন
★অহংকারকে জ্ঞানকেও টপকে যেতে পারে আর স্বাভাবিকভাবেই এটা সাধারণ জ্ঞানটুকুওকেও ঢেকে রাখে।- জুলিয়ান কাসাবিয়ানকাস
★অহংকার এর কাছে সব কিছুর মূল্য দিলেও সে তোমার কাছে কিছুই রেখে যাবে না।- সংগৃহীত
★অহংকার তোমার জন্য এক মহা বিপজ্জনক জায়গা তৈরি করে ফেলতে পারে যদি তুমি না জানো কিভাবে এটাকে দমন করতে হয়।- লেডি গ্যাগা
★অহংকার সব সময়ই দুটি মানুষের ভিতর সবচেয়ে বেশি দূরত্ব সৃষ্টি করে থাকে।- সংগৃহীত
★অহংকার হলো অ্যাধাত্মিক ক্যান্সার যা মনের মাঝের ভালোবাসা এবং যাবতীয় গুণকে গ্রাস করে।- সি. লেউস
★যদি তোমার আত্ম মর্যাদা তোমার হৃদয়ের চেয়ে বড় এবং তোমার অহংকার তোমার মাথার চেয়ে বড় হয় তবে তা ছাড়ার চেষ্টা কর। কেননা তা না হলে তুমি একা হয়ে যাবে।- সংগৃহীত
★জ্ঞান হলো অহংকারের ব্যস্তানুপাতিক, যতই জ্ঞান বাড়বে অহংকার কমবে আর যতই জ্ঞান কমবে অহংকার বাড়বে।- আলবার্ট আইনস্টাইন
★যদি তোমার অহংকার যদি জিতে যায় তবে মনে রেখো জীবন হেরে যাবে।- প্রাটিকসা কৌশাল
*কিছু সময় মানুষ এটাকে অহংকার ভাবলেও সেটা শুধুই আত্মমর্যাদা বোধ হয়ে থাকে।-সংগৃহীত
★অন্ধকার হলো আলোর অনুপস্থিতি আর অহংকার হলো জাগরণের অনুপস্থিতি।- ওশো
★অহংকার কখনোই সত্যকে মানে না।-গৌতম বুদ্ধ
★তোমার অহংকারই হলো তোমার সর্বশ্রেষ্ঠ শত্রু তাই এটাকে আজই মেরে ফেলো।- সংগৃহীত
উপরে আপনাদের জন্য কিছু জনপ্রিয় অহংকার নিয়ে বাণী শেয়ার করলাম। সামনে অন্য কোনো বিষয়ে উক্তি শেয়ার করবো। সে পর্যন্ত ভালো থাকুন। ধন্যবাদ
★যখন উপাসনা শেষ হবে, তোমরা জমিনে ছড়িয়ে পড়বে এবং আল্লাহর দান অনুসন্ধানে লেগে থাকবে ★
★মানুষ মাত্রই পাপী, আর পাপীদের মধ্যে তওবাকারীরাই উত্তম ★
★ যারা তাদের নামাজে যত্নবান তারাই জান্নাতে সম্মানিত হবে ★
★ আপনার রব কখনোই তার বান্দার উপর জুলুম করে না ★
★ জান্নাতে সব আছে কিন্তু মৃত্যু নেই , কোরানে সব আছে কিন্তু মিথ্যা নেই★
★ধের্য্য ধর তোমার জন্য যেটা সেরা তা দেরীতে হলেও আসবে★
★এমন নামযী হও যেন এক মহুর্ত নামাজ ছাড়া থাকতে না পরো।★
★হে পালন কর্তা আপনাকে ডপকে আমি কখনো নিরাশ হইনি।★
1) আর রাহমান – পরম দয়ালু
২) আর রহিম – অতিশয় মেহেরবান
3) আল মালিক – সর্বকর্তৃত্বময়
4) আল কুদ্দুস – অতি পবিত্র
5)আস সালাম – শান্তি দানকারী
6) আল মুমিন – নিরাপত্তা ও ঈমান দানকারী
7) আল মুহাইমিন – পরিপূর্ণ রক্ষণাবেক্ষণকারী
8) আল আজিজ – পরাক্রমশালী
9) আল জাব্বার – দুর্নিবার
10) আল মুতাকাব্বির – নিরঙ্কুশ শ্রেষ্ঠত্বের অধিকারী
11) আল খালিক – সৃষ্টিকর্তা
12) আল বারী – সঠিকভাবে সৃষ্টিকারী
13) আল মুসাউইর – আকৃতি দানকারী
14) আল গাফ্ফার – পরম ক্ষমাশীল
15) আল ক্বাহার – কঠোর
16) আল ওয়াহ্হাব – সবকিছু দানকারী
17) আর রাজ্জাক – রিযিকদাতা
18) আল ফাত্তাহ – বিজয়দানকারী
19) আল আলীম – সর্বজ্ঞ
20) আল কাবিদ্ব – সংকীর্ণকারী
21) আল বাসিত – প্রশস্তকারী
22) আল খাফিদ – অবনতকারী
23) আর রাফী – উন্নতকারী
24) আল মুজিব – সম্মান দানকারী
25) আল মুদ্বিল্ল – (অবিশ্বাসীদের) বেইজ্জতকারী
26) আস সামি – সর্বশ্রোতা
27) আল বাসীর – সর্ববিষয় দর্শনকারী
28) আল হাকাম – অতল বিচারক
29) আল আদল – পরিপূর্ণ ন্যায়বিচারক
30) আল লতিফ – সকল গোপন বিষয়ে অবগত
31) আল খাবির – সকল বিষয়ে জ্ঞাত
32) আল হালিম – অত্যন্ত ধর্য্যশীল
33) আল আজিম – সর্বত্ত মর্যাদাশীল
34) আল গফুর – পরম ক্ষমাশীল
35) আস শাকুর – গুন্গ্রাহী
36) আল আলী – উচ্চ মর্যাদাশীল
37) আল কাবিইর – সুমহান
38) আল হাফীজ – সংরক্ষণকারী
39) আল মুক্বিত – সকলের জীবনোপকরণ দানকারী
40) আল হাসিব – হিসাব গ্রহণকারী
41) আল জলীল- পরম মর্যাদার অধিকারী
42) আল কারীম – সুমহান দাতা
43) আল রাক্বীব – তত্ত্বাবধায়ক
44) আল মুজীব – কবুলকারী
45) আল ওয়াসি – সর্বত্ত বিরাজমান
46) আল হাকীম – পরম প্রজ্ঞাময়
47) আল ওয়াদুদ – (বান্দাদের প্রতি) সদয়
48) আল মাজীদ – সকল মর্যাদার অধিকারী
49) আল বাইস – পুনরুজ্জীবিতকারী
50) আশ শাহীদ – সর্বজ্ঞ স্বাক্ষী
51) আল হাক্ব – পরম সত্য
52) আল ওয়াকিল – পরম নির্ভরযোগ্য কর্ম-সম্পাদনকারী
53) আল ক্বাউইউ – পরম শক্তির অধিকারী
54) আল মাতীন – সুদৃঢ়
55) আল ওয়ালীইউ – অভিভাবক ও সাহায্যকারী
56) আল হামীদ – সকল প্রশংসার অধিকারী
57) আল মুহসি – সকল সৃষ্টির ব্যাপারে অবগত
58) আল মুব্দি – প্রথমবার সৃষ্টিকর্তা
59) আল মুঈদ – পুনরায় সৃষ্টিকর্তা
60) আল মুহয়ি – জীবন দানকারী
61) আল মুমীত – মৃত্যু দানকারী
62) আল হাইয়্যু – চিরঞ্জীব
63) আল ক্বাইয়ূম – সমস্ত কিছুর ধারক ও সংরক্ষণকারী
64) আল ওয়াজীদ – অফুরন্ত ভান্ডারের অধিকারী
65) আল মাজীদ – শ্রেষ্ঠত্বের অধিকারী
66) আল ওয়া’হিদ – এক ও অদ্বিতীয়
67) আল আহাদ – এক
68) আস সামাদ – অমুখাপেক্ষি
69) আল ক্বাদীর – সর্বশক্তিমান
70) আল মুক্তাদির – নিরঙ্কুশ সিদ্ধান্তের অধিকারী
71) আল মুক্বদ্দিম – অগ্রসারক
72) আল মুয়াক্ষীর – অবকাশ দানকারী
73) আল আউয়াল – অনাদি
74) আল আখির – অনন্ত, সর্বশেষ
75) আল জাহির – সম্পূর্ণরূপে প্রকাশিত
76) আল বাত্বিন – দৃষ্টি হতে অদৃশ্য
77) আল ওয়ালী – সমস্ত কিছুর অভিভাবক
78) আল মুতা’আলী – সৃষ্টির গুণাবলীর উর্দ্ধে
79) আল বার্ – পরম উপকারী
80) আত তাওয়াব – তাওবার তৌফিক দানকারী ও কবুলকারী
81) আল মুনতাক্বীম – প্রতিশোধ গ্রহণকারী
82) আল আফঊ – পরম উদার
83) আর রউফ – পরম স্নেহশীল
84) মালিকুল মূলক – সমগ্র জগতের বাদশাহ
85) যুল জালালী ওয়াল ইকরাম – মহিমান্বিত ও দয়াবান সত্তা
86) আল মুক্বসিত – হকদারের হোক আদায়কারী
87) আল জামিই – একত্রকারী, সমবেতকারী
88) আল গানি – অমুখাপেক্ষি ধনী
89) আল মুগনিই – পরম অভাবমোচনকারী
90) আল মানিই – অকল্যাণরোধক
91) আয্ যর – ক্ষতিসাধনকারী
92) আন নাফিই’ – কল্যাণকারী
93) আন নূর – পরম আলো
94) আল হাদী – পথ প্রদর্শক
95) আল বাদীই – অতুলনীয়
96) আল বাক্বী – চিরস্থায়ী, অবিনশ্বর
97) আল ওয়ারিস – উত্তরাধিকারী
98) আর রাশীদ – সঠিক পথ প্রদর্শক
99) আস সাবুর – অত্যাধিক ধর্য্য ধারণকারী
★আমরা একমাত্র তোমারই ইবাদত করি এবং শুধুমাত্র তোমারই সাহায্য প্রার্থনা করি। ( সুরা ফাতিহা, আয়াত -০৫)
★তোমরা সত্যকে মিথ্যার সাথে মিশিয়ে দিও না এবং জানা সত্ত্বে সত্যকে তোমরা গোপন করো না। সুরা বাকারা আয়াত-৪২)
★আর তোমরা আনুগত্য কর আল্লাহ ও রসূলের, যাতে তোমাদের উপর রহমত করা হয়। ( সুরা আল ইমরান, আয়াত-১৩২)
★হে ঈমানদানগণ! ধৈর্যধারণ কর এবং মোকাবেলায় দৃঢ়তা অবলম্বন কর। আর আল্লাহকে ভয় করতে থাক যাতে তোমরা তোমাদের উদ্দেশ্য লাভে সফলকাম হতে পার।( সুরা বাকার, আয়াত- ২০০।)
★হে ঈমানদারগণ! তোমরা একে অপরের সম্পদ অন্যায়ভাবে গ্রাস করো না। কেবলমাত্র তোমাদের পরস্পরের সম্মতিক্রমে যে ব্যবসা করা হয় তা বৈধ। আর তোমরা নিজেদের কাউকে হত্যা করো না। নিঃসন্দেহে আল্লাহ তা’আলা তোমাদের প্রতি দয়ালু।( সুরা নিসা, আয়াত -২৯)
★হে মুমিনগণ! আহলে কিতাবদের মধ্য থেকে যারা তোমাদের ধর্মকে উপহাস ও খেলা মনে করে, তাদেরকে এবং অন্যান্য কাফিরকে বন্ধুরূপে গ্রহণ করো না। আল্লাহকে ভয় কর, যদি তোমরা ঈমানদার হও। ( সুরা মায়েদাহ,আয়াত-৫৭)
★আমি তোমাদেরকে পৃথিবীতে ঠাই দিয়েছি এবং তোমাদের জীবিকা নির্দিষ্ট করে দিয়েছি। তোমরা অল্পই কৃতজ্ঞতা স্বীকার কর।-সূরাঃ আল-আরাফ [7:10]
★ইশতারাও বিআ-য়া-তিল্লা-হি ছামানান কালীলান ফাসাদ্দূ‘আন ছাবীলিহী ইন্নাহুম ছাআ মা-কা-নূইয়া‘মালূন।- সূরাঃ আত-তাওবাহ [9:9]
★তোমরা যুদ্ধ কর আহলে-কিতাবের ঐ লোকদের সাথে, যারা আল্লাহ ও রোজ হাশরে ঈমান রাখে না, আল্লাহ ও তাঁর রসূল যা হারাম করে দিয়েছেন তা হারাম করে না এবং গ্রহণ করে না সত্য ধর্ম, যতক্ষণ না করজোড়ে তারা জিযিয়া প্রদান করে।- সূরাঃ আত-তাওবাহ [9:29]
★যারা ঈমান আনে আর সৎকাজ করে তাদের জন্য রয়েছে নেয়ামতে ভরা জান্নাত।- সূরাঃ লুকমান [31:8]
★আর আমি মানুষকে তার পিতা-মাতার সাথে সদ্ব্যবহারের জোর নির্দেশ দিয়েছি। তার মাতা তাকে কষ্টের পর কষ্ট করে গর্ভে ধারণ করেছে। তার দুধ ছাড়ানো দু বছরে হয়। নির্দেশ দিয়েছি যে, আমার প্রতি ও তোমার পিতা-মতার প্রতি কৃতজ্ঞ হও। অবশেষে আমারই নিকট ফিরে আসতে হবে।- সূরাঃ লুকমান [31:14]
★হে বৎস, নামায কায়েম কর, সৎকাজে আদেশ দাও, মন্দকাজে নিষেধ কর এবং বিপদাপদে সবর কর। নিশ্চয় এটা সাহসিকতার কাজ।- সূরাঃ লুকমান [31:17]