দোয়া কুনুত (আরবি: القنوت) বিতর সালাতে আল্লাহর রাসুল (সাঃ) মাঝে মাঝে দুয়া কুনুত পাঠ করতেন। এক/তিন/পাঁচ/সাত/এগারো রাকাত বিতের সালাতের শেষ রাকাতে রুকুতে যাওয়ার আগে বা রুকু থেকে উঠে দুই হাত তুলে বা বেধে দুআ কুনুত পাঠ করতে হয়।
আল্লাহুম্মা ইন্না নাস্তাঈ’নুকা, ওয়া নাস্তাগ্ফিরুকা, ওয়া নু’’মিনু বিকা, ওয়া নাতাওয়াক্কালু ‘আলাইকা, ওয়া নুছনী আলাইকাল খাইর। ওয়া নাশ কুরুকা, ওয়ালা নাকফুরুকা, ওয়া নাখলাউ’, ওয়া নাতরুকু মাঁই ইয়াফজুরুকা। আল্লাহুম্মা ইয়্যাকা না’বুদু ওয়া লাকানুসল্লী, ওয়া নাসজুদু, ওয়া ইলাইকা নাস’আ, – ওয়া নাহফিদু, ওয়া নারজু রাহমাতাকা, ওয়া নাখশা – আযাবাকা, ইন্না আযাবাকা বিল কুফ্ফারি মুলহিক্ব।
হে আল্লাহ! আমরা তোমারই সাহায্য চাই। তোমারই নিকট ক্ষমা চাই, তোমারই প্রতি ঈমান রাখি, তোমারই ওপর ভরসা করি এবং সকল মঙ্গল তোমারই দিকে ন্যস্ত করি। আমরা তোমার কৃতজ্ঞ হয়ে চলি, অকৃতজ্ঞ হই না। হে আল্লাহ! আমরা তোমারই দাসত্ব করি, তোমারই জন্য নামায পড়ি এবং তোমাকেই সিজদাহ করি। আমরা তোমারই দিকে দৌড়াই ও এগিয়ে চলি। আমরা তোমারই রহমত আশা করি এবং তোমার আযাবকে ভয় করি। আর তোমার আযাবতো কাফেরদের জন্যই র্নিধারিত।
ইমাম নববি বলেন, জেনে রাখুন- অগ্রগণ্য মাজহাব মতে, কুনুতের জন্য সুনির্দিষ্ট কোনো দোয়া নেই। তাই যেকোনো দোয়া পড়লে— এর দ্বারা কুনুত হয়ে যাবে; এমনকি দোয়া সম্বলিত এক বা একাধিক কোরআনের আয়াত পড়লেও কুনুতের উদ্দেশ্য হাসিল হয়ে যাবে। তবে হাদিসে যে দোয়া এসেছে সেটা পড়া উত্তম। (আল-আজাকার, পৃষ্ঠা : ৫০)
সুতরাং আপনি যত তাড়াতাড়ি সম্ভব দোয়া কুনুত মুখস্থ করে নেওয়া চাই। কারণ, এটা পড়া রাসুল (সা.)-এর সুন্নত। তবে দোয়া মুখস্ত করার আগ পর্যন্ত আপাতত পবিত্র কোরআনে বর্ণিত এই দোয়াটি পড়া যাবে।
কোরআনের দোয়া :
رَبَّنَاۤ اٰتِنَا فِی الدُّنْیَا حَسَنَةً وَّ فِی الْاٰخِرَةِ حَسَنَةً وَّ قِنَا عَذَابَ النَّارِ
উচ্চারণ : রাব্বানা আতিনা ফিদ-দুনিয়া হাসানাতাঁও ওয়া ফিল আখিরাতে হাসানাতাঁও ওয়া কিনা আজাবান নার।
অর্থ : হে আমাদের প্রতিপালক, আমাদের দুনিয়াতে কল্যাণ দান করুন; আখিরাতেও কল্যাণ দান করুন। এবং আমাদের জাহান্নামের আজাব থেকে রক্ষা করুন। (সুরা বাকারা, আয়াত : ২০১)
দোয়া মাসুরা নামাজের শেষে পড়তে হয় । এটি পড়ে নামাজের সালাম ফেরানো হয় । নিচের এর আরবি , উচ্চারন ও বাংলা অর্থ বা অনুবাদ দেয়া হলো । আশাকরি আপনাদের কাজে আসবে । যদি সামান্য উপকার হয় তাহলে শেয়ার করবেন । ধন্যবাদ ।
আরবিঃ اللّٰهُمَّ إِنِّيْ ظَلَمْتُ نَفْسِيْ ظُلْمْاً كَثِيْراً، وَلاَ يَغْفِرُ الذُّنُوْبَ إِلاَّ أَنْتَ، فَاغْفِرْ لِيْ مَغْفِرَةً مِنْ عِنْدِكَ وَارْحَمْنِي، إِنَّكَ أَنْتَ الغَفُوْرُ الرَّحِيْمُ
উচ্চারণঃ আল্লাহুম্মা ইন্নি যলামতু নাফসি যুলমান কাসিরা । ওয়ালা ইয়াগ ফিরুয যুনুবা ইল্লা আনতা ফাগফির লি । মাগফিরাতাম মিন ইনদিকা । ওয়ার হামনি । ইন্নাকা আনতাল গাফুরুর রাহিম ।
বাংলা অর্থ / অনুবাদঃ হে আল্লাহ ! আমি আমার নিজ আত্মার উপর বড়ই অত্যাচার করেছি, গুনাহ মাফকারী একমাত্র আপনিই । অতএব আপনি আপনা হতেই আমাকে সম্পূর্ণ ক্ষমা করুন এবং আমার প্রতি দয়া করুন । নিশ্চয়ই আপনি ক্ষমাশীল দয়ালু ।
এই দোয়া টি আমরা সাধারণত নামাযের শেষের দিকে বৈঠকে বসে আত্তাহিয়াতু পড়ার পর, দুরুদে ইব্রাহিম পড়ার পর এই দোয়া টি পড়ে থাকি । নামাযে নিয়ত বাঁধার পর সানা (সুবাহাকাল্লাহুম্মা) পড়তে হয় । এর পর সূরা ফাতিহা পড়তে হয় । তারপর সূরা ফাতিহার সাথে অন্য যেকোন সূরা মিলিয়ে পড়তে হয় । এরপর রুকুতে গিয়ে সুবহা-না রব্বিয়াল আ`যিম পড়তে হয় । এরপর রুকু থেকে উঠে সোজা হয়ে দাড়াতে হয় । তারপর সিজদায় যেতে হয়, সেজদায় সুবহা-না রব্বিয়াল আ‘লা পড়তে হয় । এভাবে দুই সেজদার পড় উঠে দাঁড়িয়ে হাত বাঁধতে হয় ।
তারপর আবার আগের নিয়মে সূরা ফাতিহা পড়ে, আগের মত করে পরের রাকাত শেষ করতে হয় । এভাবে যদি দুই রাকাত নামাজ হয়, তাহলে দুই রাকাত পড়ার পরে বসে আত্তাহিয়াতু পড়তে হয় । তারপর দুরুদে ইব্রাহিম পড়তে হয় । তারপর সালাম ফেরানোর আগে এই দোয়া মাসুরা পড়তে হয় ।
কবর জিয়ারত করলে হৃদয় বিনম্র হয়। মৃত্যুর কথা স্মরণ হয়। আখিরাতের প্রতি উৎসাহ পাওয়া যায়। গুনাহ ও অন্যায় থেকে তওবা করার মানসিকতা তৈরি হয়। সৎ-আমলের প্রতি আগ্রহ সৃষ্টি হয়। কবর জিয়ারত রাসুল (সা.) সুন্নতও বটে।
কবর জিয়ারতের অনুমতি দেওয়ার অন্যতম কারণ হলো- এতে পরকালীন জীবনের কথা স্মরণ হয়। ইসলামের প্রথম দিকে কবর জিয়ারতের অনুমতি ছিল না। হাদিসে রাসুল (সা.) বলেন, ‘আমি তোমাদের কবর জিয়ারতে নিষেধ করেছিলাম, এখন থেকে কবর জিয়ারত করো। কারণ, তা দুনিয়াবিমুখতা এনে দেয় এবং আখিরাতের কথা স্মরণ করিয়ে দেয়।’ (সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদিস : ১৫৭১)
আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) মদিনার কবরবাসীর পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় এই দোয়া পাঠ করেন—
السَّلاَمُ عَلَيْكُمْ يَا أَهْلَ الْقُبُورِ يَغْفِرُ اللَّهُ لَنَا وَلَكُمْ أَنْتُمْ سَلَفُنَا وَنَحْنُ بِالأَثَرِ
উচ্চারণ : আসসালামু আলাইকুম ইয়া আহলাল কুবুর; ইয়াগফিরুল্লাহু লানা ওয়ালাকুম, আনতুম সালাফুনা ওয়া নাহনু বিল আ-সার।
অর্থ : হে কবরবাসী! তোমাদের ওপর শান্তি বর্ষিত হোক। আল্লাহ আমাদের ও তোমাদের ক্ষমা করুন, তোমরা আমাদের আগে কবরে গিয়েছ এবং আমরা পরে আসছি। (সুনানে তিরমিজি, হাদিস : ১০৫৩)
সূত্র : আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) মদিনার কবরবাসীর পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় এই দোয়া পাঠ করেন। (তিরমিজি, হাদিস : ১০৫৩)
আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত হয়েছে, একবার রাসুল (সা.) একটি কবর জিয়ারতে গিয়ে বলেন—
السَّلامُ عَلَيْكُمْ دَارَ قَوْمٍ مُؤمِنينَ وإِنَّا إِنْ شَاءَ اللَّهُ بِكُمْ لاحِقُونَ
উচ্চারণ : আসসালামু আলাইকুম দারা ক্বাওমিম মুমিনিন ওয়া ইন্না ইনশাআল্লাহু বিকুম লা-হিকুন।
অর্থ : মুমিন এই ঘরবাসীদের ওপর শান্তি বর্ষিত হোক। ইনশাআল্লাহ আমরা আপনাদের সঙ্গে মিলিত হবো। (সহিহ মুসলিম : ২৪৯)
কবরস্থানে যাওয়ার পর সর্বপ্রথম জিয়ারতের দোয়া পড়বেন। এরপর কবরবাসীর ইসালে সওয়াবের নিয়তে দরুদ শরিফ ও বিভিন্ন সুরা ইত্যাদি পড়বেন। মৃতের বা কবরবাসীর মাগফিরাতের জন্য দোয়া করবেন।
হাদিসে কবর জিয়ারতের ক্ষেত্রে কিছু সুরার বিশেষ ফজিলতের কথা উল্লেখ হয়েছে। পাশাপাশি দরুদ শরিফের ফজিলতের কথাও এসেছে। তাই দরুদ শরিফ, সুরা ফাতিহা, সুরা ইখলাস, আয়াতুল কুরসি ও অন্য যেসব সুরা সহজ মনে হয়— সেগুলো পড়ে সওয়াব উপহার দেবেন।
কবর সামনে রেখে দুই হাত তুলে দোয়া উচিত নয়। তাই কবরকে পেছনে রেখে কিংবা কবরের দিকে পিঠ দিয়ে এরপর কিবলামুখী হয়ে দোয়া করা চাই। আবার কেউ চাইলে হাত না তুলে মনে মনেও দোয়া করতে পারেন। (ফাতাওয়ায়ে আলমগিরি খণ্ড ৫, পৃষ্ঠা ৩৫০, কিতাবুল কারাহিয়্যা)
কবর জিয়ারতের নিয়ম,কবর জিয়ারতের সূরা সমূহ,কবর জিয়ারতের মোনাজাত,কবর জিয়ারতের সময় কি কি পড়তে হয়
অসুস্থ ব্যক্তির জন্য সেবাই সর্বোত্তম কাজ। অসুস্থ ব্যক্তির সুস্থতায় সেবাকারীর ব্যক্তির দোয়ার বিকল্প নেই। অসুস্থ ব্যক্তির সেবায় বিশ্বনবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কী করতেন? রোগীর সেবা করার নিয়ম কি আমরা জানি? হাদিসের বর্ণনায় তা ফুটে ওঠেছে-
‘হজরত আয়েশা বিনতে সাদ তাঁর পিতা থেকে বর্ণনা করেছেন যে, নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘হে আল্লাহ! সাদকে আরোগ্য করে দাও।’
অসুস্থ ব্যক্তির জন্য দোয়া করার আগে তাঁর সেবা করা জরুরি। আর সেবাদানকারী ব্যক্তির সেবা করার পাশাপাশি আল্লাহর কাছে তার সুস্থতা কামনায় নাম উল্লেখ করে বেশি বেশি দোয়া করা। হাদিসের বর্ণনায় আরও ওঠে এসেছে-
হজরত আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর নিয়ম ছিল, তিনি যখন কোনো রোগীর কাছে আসতেন কিংবা তাঁর কাছে যখন কোনো অসুস্থ ব্যক্তিকে আনা হতো; তখন তিনি বলতেন-
أَذْهِبِ الْبَاسَ رَبَّ النَّاسِ، اشْفِ وَأَنْتَ الشَّافِي لاَ شِفَاءَ إِلاَّ شِفَاؤُكَ، شِفَاءً لاَ يُغَادِرُ سَقَمًا
উচ্চারণ : ‘আজহাবিল বাসা রাব্বাননাসি, ইশফি ওয়া আংতাশ শাফি লা শিফাআ ইল্লা শিফাউকা শিফাআন লা ইয়ুগাদিরু সাক্বামা।’
অর্থ : ‘কষ্ট দূর করে দাও, হে মানুষের রব! আরোগ্য দান কর, তুমিই একমাত্র আরোগ্যদানকারী। তোমার সুস্থতা ছাড়া অন্য কোনো সুস্থতা নেই। এমন সুস্থতা দান কর তা যেন সামান্যতম রোগকেও অবশিষ্ট না রাখে।’ (বুখারি, মুসলিম, মুসনাদে আহমাদ)
অসুস্থ ব্যক্তির জন্য ওষুধ ও দোয়া ছাড়া সবচেয়ে বেশি কার্যকরী হলো তার যত্ন নেয়া। অসুস্থ ব্যক্তির সেবা-শুশ্রুষা করার পাশাপাশি ওষুধ এবং তাঁর নাম উল্লেখ করে আল্লাহর কাছে দোয়া করা। এটিই বিশ্বনবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের দোয়া করার নিয়ম।
অসুস্থ হলে পড়ার জন্য আল্লাহর রাসুল (সা.) একটি দোয়া শিখিয়েছেন। কেউ দোয়াটি পড়লে আল্লাহ তাআলা অসুস্থ ব্যক্তিকে দ্রুত সুস্থতা দান করেন।
আনাস বিন মালিক (রা.) বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) এই দোয়া পড়ে অসুস্থ ব্যক্তিদের ঝাড়ফুঁক করতেন। দোয়াটি হলো-
اللَّهُمَّ رَبَّ النَّاسِ أَذْهِبْ الْبَاسَ اشْفِهِ وَأَنْتَ الشَّافِي لَا شِفَاءَ إِلَّا شِفَاؤُكَ شِفَاءً لَا يُغَادِرُ سَقَمًا
উচ্চারণ : আল্লাহুম্মা রাব্বান নাসি উজহিবাল বা’সি, ইশফিহি ওয়া আনতাশ-শাফি, লা শিফায়া ইল্লা শিফায়ুকা শিফায়ান লা ইউগাদিরু সাকমা।
অর্থ : হে আল্লাহ! মানুষের প্রতিপালক, কষ্ট দূরকারী। আমাকে আরোগ্য দিন, আপনি আরোগ্যকারী—আপনি ছাড়া কোনো আরোগ্যকারী নেই। এমন আরোগ্য দিন যেন কোনো রোগ না থাকে। (বুখারি, হাদিস : ৫৭৪২)
সুতরাং মুমিন মুসলমানের উচিত, অসুস্থ ব্যক্তির সর্বোচ্চ সেবা করা। অসুস্থ ব্যক্তির এ সেবাকে আল্লাহর ইবাদতে পরিণত করা। অসুস্থ ব্যক্তির জন্য নাম উল্লেখ করে বেশি বেশি দোয়া করা।
আসসালামুআলাইকুম।সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমতে আশাকরি সকলে সুস্থ আছেন। banglaquote.com এর পক্ষ থেকে সকলকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।
ayatul kursi banglaকোরআনের মাজীদের শ্রেষ্ঠ আয়াত।আয়াতুল কুরসি Surah Al-Baqarah verse 255, আল কুরআনের কারীমের একটি আয়াত, যাহাতে বর্ণিত হয় মহান আল্লাহ্ শ্রেষ্ঠত্ব-মাহাত্ম্য,জ্ঞান,বিদ্যা-মহিমা,
আল্লা-হু লা-ইলা-হা ইল্লা-হুওয়া (ج) আল হাইয়ুল । কাইয়ূমু (ج) লা-তা’খুযুহু ছিনাতুওঁ ওয়ালা-নাওমুন (ط) লাহ্ মা-ফিছ ছামা-ওয়াতি ওয়ামা-ফিল আরদি (ط)।
মাং যাল্লাযী ইয়াশফাউ ইংদাহ্ইল্লা-বিইযনিহী (ط) ইয়া’লামু মা-বাইনা আইদীহিম ওয়ামা-খালফাহুম (ج)) ওয়ালাএ ইউহীনা বিশাইইম্ মিন ইলমিহী-ইল্লা-বিমা-শা ~ আ (ج))
ওয়াছি‘আ কুরছিইয়ুহুছ ছামাওয়াতি ওয়াল আরদ। (ج) ওয়ালা-ইয়াউদুহু হিফজুহুমা- (ج) ওয়া হুওয়াল| ‘আলিইয়ুল আজীম।
আয়াতুল কুরসী বাংলা অর্থ : আল্লাহ, যিনি ব্যতীত কোন উপাস্য নাই । যিনি চিরঞ্জীব ও বিশ্বচরাচরের ধারক। কোন তন্দ্রা বা নিদ্রা তাঁহাকে পাকড়াও করতে পারেন না।
আসমান ও জমিনে যা কিছু আছে সবকিছু তাঁরই মালিকানাধীন। তাঁর নির্দেশ ব্যতিত এমন কে আছে যে, তাঁর নিকটে সুফারিশ করতে পারে? তাদের সম্মুখে ও পিছনে যা কিছু আছে সবকিছুই তিনি জানে।
তাঁর জ্ঞানের সাগর হতে তারা কিছুই আয়ত্ত করতে পারে না, কেবল যতুটুকু তিনি দিতে ইচ্ছা করেন তা ব্যতিত। তাঁর কেদারা সমগ্র আসমান ও জমিন পরিবেষ্টন করে আছে। আর সেগুলির তত্ত্বাবধান তাঁকে মোটেই শ্রান্ত করে না। তিনি সর্বোচ্চ এবং বৃহত্তম’।
আজকে আমরা আসতাগফিরুল্লাহ অর্থ কি তা জানবো। আসুন জেনে নেই এর অর্থ কি।
এটি হলো একটি আরবি শব্দ । যার অর্থ হলো আমি (মহান) আল্লাহ্র নিকট ক্ষমা চাই।
আমরা অনেকেই জানি না, কখন আলহামদুলিল্লাহ বলতে হয়। আসলে আমাদের দ্বারা যখন কোন খারাপ কাজ হয়ে যায়। সাথে সাথে আল্লাহর কাছে আমাদের ক্ষমা চাওয়া উচিৎ। কারণ হল আল্লাহ্র কাছে ক্ষমা চাইলে আল্লাহ্ খুশী হন এবং ক্ষমা করে থাকেন। আমরা মানুষ,আর মানুষ মাত্রই ভুল বা অপরাধ করে থাকে । আমাদের মধ্যে অনেকেই জেনে অপরাধ করে আবার অনেকেই না জেনে পাপ করে । তবে আমরা সবাই কোনো না কোনো ভাবে অপরাধী আল্লাহ্র কাছে । কাজেই আল্লাহর কাছে আমাদের ক্ষমা চাওয়াতে কোন লজ্জা নেই । আমাদের এই লিখা যদি আপনার সামান্যতম কোনো উপকারে আসে, তাহলে শেয়ার করবেন। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ সকল কে।
আলহামদুলিল্লাহ অর্থ কি তা আমরা আজ কে জানবো। আশাকরি পুরো লেখাটি পড়বেন। মুসলমান হিসেবে আমরা কয়েকটি আরবি শব্দ বেশির ভাগ সময় বলে থাকি। তার ভিতর অন্যতম হলো আলহামদুলিল্লাহ্ । আসুন জেনে নেই এই আরবি শব্দটির বাংলা অর্থ কি?
আলহামদুলিল্লাহ শব্দের বাংলা অর্থ হলো-
সকল প্রশংসা মহান আল্লাহ্ তায়ালার জন্য । মহান আল্লাহ্র প্রশংসা করা আমাদের জন্য খুবই জরুরী একটা বিষয় । কারণ আমাদের সব কিছু আল্লাহ্র উপরই নির্ভর করে । আর আল্লাহ্র প্রশংসা করলে আল্লাহ্ খুশী হন । সকল ক্ষেত্রে আমাদের উচিৎ মহান আল্লাহ্র প্রশংসা করা । তাহলে তিনি আমাদের জীবনকে আরো সুন্দর করে দিবেন ।
কখন এটা বলতে হয়ঃ
এই শব্দ টি আমরা অনেকেই ভুল করে অন্য জায়গায় বলে ফেলি । আসুন জেনে নেই আমরা কোন কোন অবস্থায় এই কথা টি বলতে পারিঃ
এছাড়া আরো অনেক ক্ষেত্রে এটা বলা যায় । কোরআন ও হাদিসের আলোকে বলা যায়- আমরা এই কথা টা যত বেশী বলতে পারি, আমাদের জন্য তত বেশী ভালো ।
চলুন দেখে নেই- মাশাআল্লাহ অর্থ কি এবং কখন এটা বলতে হয়।
“মাশাআল্লাহ” হলো একটি আরবি শব্দ। যার অর্থ হলোঃ আল্লাহ যা ইচ্ছে করেন তাই হয়।
জেনে নেই এটা কখন বলতে হয়ঃ
১। সুন্দর কোনো কিছু দেখতে পেলে।
২। কেউ ভালো কোন কাজ করলে।
৩। কারো সফলতা দেখতে পেলে।
আমাদের অনেকেরেই জানা নেই, কখন মাশাআল্লাহ বলতে হয় আর কখন বলতে হয় সুবহানাল্লাহ। ইসলামী মতে নজর খুব খারাপ। কারো উপর নজর লাগলে, খুব বিপদ হয়ে থাকে তার। তাই আমাদের উচিৎ কোন ভালো কিছু দেখলে বা কেউ ভালো কিছু করলে মাশাআল্লাহ বলা সব সময়। এতে করে নজর লাগে না। এবং মানুষ নিরাপদ থেকে থাকে।
اللّٰهُمَّ إِنِّيْ ظَلَمْتُ نَفْسِيْ ظُلْمْاً كَثِيْراً، وَلاَ يَغْفِرُ الذُّنُوْبَ إِلاَّ أَنْتَ، فَاغْفِرْ لِيْ مَغْفِرَةً مِنْ عِنْدِكَ وَارْحَمْنِي، إِنَّكَ أَنْتَ الغَفُوْرُ الرَّحِيْمُ
আল্লাহুম্মা ইন্নি যলামতু নাফসি যুলমান কাসিরা । ওয়ালা ইয়াগ ফিরুয যুনুবা ইল্লা আনতা ফাগফির লি । মাগফিরাতাম মিন ইনদিকা । ওয়ার হামনি । ইন্নাকা আনতাল গাফুরুর রাহিম ।
হে আল্লাহ ! আমি আমার নিজ আত্মার উপর বড়ই অত্যাচার করেছি, গুনাহ মাফকারী একমাত্র আপনিই । অতএব আপনি আপনা হতেই আমাকে সম্পূর্ণ ক্ষমা করুন এবং আমার প্রতি দয়া করুন । নিশ্চয়ই আপনি ক্ষমাশীল দয়ালু ।