চুয়াত্তরের প্রসব যন্ত্রনা এবং – রুদ্র মুহম্মদ শহিদুল্লাহ
চিরদিন যে রমনী গভীর বিশ্বাসে
খুলে দিয়েছে শরীরের যাবতীয় পোশাক
সময়ে_অসময়ে, কালে-অকালে
বার বার মেতেছে নিষিদ্ধ অবৈধ সংগমে,
প্রতিবার এক উষ্ম প্রত্যয়ে হয়েছে অন্তসত্ত্বা ।
যে রমনী শুয়ে আছে স্নেহের অশ্লীল ভঙ্গিতে
তার তপ্ত ঘামের সোঁদা ঘ্রাণে একদিন অবক্ষয় ছেড়ে
আমি জ্বলন্ত যুবক হয়ে শুয়ে ছিলাম বিপরীতে ।
বায়ান্নর অবৈধ প্রসব তার স্বপুরুষ আজ
একাত্তরের সন্তান তার যক্ষাক্রান্ত হলো ।
সে যক্ষা একাত্তরের নয়- সে যক্ষা আমার-
সে কঠিন যক্ষা আমাদের সমস্ত শরীরে ।
বিদেশী নোতুন মডেলের দুরন্ত চাকায়
মুছে গেছে জন্মের রক্ত, কিশোরী আকাংখা ।
আমার আধগতি দেখে বন্ধুরা হাসে বলে ‘এ কেমন সন্তান হলো!’
বাংলাদেশের কবিতা
- ঊনসত্তরের ছড়া-১ আল মাহমুদ
- মেঘনা পাড়ের ছেলে – আহসান হাবীব
- জুতা বিষয়ক – মাকিদ হায়দার
- তিনি এসেছেন ফিরে – শামসুর রাহমান
- কনসেন্ট্রেশন ক্যাম্প – রুদ্র মুহান্মদ শহীদুল্লাহ
- আমি আজ কারো রক্ত চাইতে আসিনি – নির্মলেন্দু গুণ
- অভিমানের খেয়া – রুদ্র মুহম্মদ শহিদুল্লাহ
- বাতাসে লাশের গন্ধ – রুদ্র মুহম্মদ শহীদুল্লাহ
- স্বাধীনতা, উলঙ্গ কিশোর – নির্মলেন্দু গুণ
- আমার জলেই টলমল করে আঁখি – নির্মলেন্দু গুণ
- কথা ছিলো সুবিনয় – রুদ্র মুহম্মদ শহিদুল্লাহ
- স্বাধীনতা, এই শব্দটি কীভাবে আমাদের হলো – নির্মলেন্দু গুণ
- এই মাতোয়ালা রাইত – শামসুর রাহমান
- রাষ্ট্রপ্রধান কি মেনে নেবেন? – শহীদ কাদরী