পূর্ণিমা নিয়ে ক্যাপশন

পূর্ণিমা নিয়ে ক্যাপশন – প্রিয় বন্ধুরা আজকে আমরা আপনাদের জন্য শেয়ার করবো পূর্ণিমা নিয়ে ক্যাপশন  ও বানী। আশাকরছি আপনাদের অনেক ভালো লাগবে। আর ভালো লাগলে আপনার শেয়ার করুন আপনার কাছের মানুষের সাথে। আমাদের সাথে থাকার জন্য আন্তরিক ভাবে ধন্যবাদ আপনাকে। চলুন শুরু করি।

 

পূর্ণিমা নিয়ে ক্যাপশন

পূর্ণিমার মতো উজ্জ্বল হয়ে ওঠো তুমি,
শুধু আধারে বিলীন হয়ে ছায়া হবো আমি।

 

পূর্ণিমার অবাধ্য আগমনে রাতে সমস্ত ঘুমন্ত প্রকৃতি জেগে ওঠে। শুধু মানুষ ঘুমিয়ে থাকে।

 

 চাঁদের পূর্ণিমা যেভাবে আকাশ ছাপিয়ে পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসে আমিও সেভাবেই তোমার দিকে ছুটে যাব।

 

পৃথিবী কি পূর্ণিমার চাঁদরে জড়িয়ে নেওয়া চাঁদটাও একদম একা।

 

সূর্য যেভাবে চাঁদকে আলো দেয়, সেভাবে একজন প্রেমিক তার প্রেমের উপমা সাজায়।

 

ক্ষুধার্থ ব্যক্তির কাছে পূর্ণিমার চাঁদ যেন ঝলসানো রুটির মতো। দুচোখে তীব্র ক্ষুধা নিয়ে সে তাকিয়ে থাকে।

 

 পূর্ণিমা নিয়ে শত শত কবি কাব্য রচনা করলেও, পূর্ণিমাকে ফুটিয়ে তোলা আঁধারের কথা কেউ লিখে নি।

 

চাঁদ যেভাবে পূর্ণিমা ছড়িয়ে প্রকৃতিকে নিজের দিকে বিমোহিত করে, ঠিক তেমনি কিছু মানুষ তাদের সদগুন দিয়ে সবাইকে আকর্ষণ করে।

 

 এত সুন্দর পূর্ণিমা থাকা সত্ত্বেও চাঁদের গায়ে কলঙ্ক আছে, অথচ কিছু মানুষ নিজেকে নিখুঁত ভাবে।

 

নিশাচর পাখির মত কিছু মানুষ রাত জেগে পূর্ণিমা দেখে আর ভাবে নিঃসঙ্গ রাত ও আলোর সাথে বন্ধুত্ব করে।

 

 পূর্ণিমার আলো চোখে স্বপ্ন দেখায় তা বাস্তবের মতোই অর্জন করা কঠিন।

 

চাঁদ যেভাবে নিজের পূর্ণিমা দিয়ে রাতকে জাগিয়ে দেয়, আমি ও সেভাবেই তোমার চোখঁ ধাঁধিয়ে দিবো।

 

 কে জানে, হয়তো চাঁদ ও একদিন পূর্নিমা হারাবে, আর আমি ও তোমার স্মৃতি থেকে ম্লান হয়ে যাবো।

 

 চাঁদের পূর্নিমা যেমন সূর্যের আধোছায়া, তেমনি আমিও তোমার আধো আলো।

 

পূর্নিমাতে ছেয়ে গেছে শিউলি গাছের তল,
সজনে ডাটা দোল খাওয়ালো বাদল হাওয়ায় ঢল।

 

 পুর্নিমার আলোয় কেউ বা স্বপ্ন আঁকে, আবার কেউ ডুকরে মরে।

 

চাঁদের পূর্ণিমা আসলে চাঁদের গায়ে দাগ কে ঢেকে রাখে। যেভাবে আমরা আমাদের হাসিতে নিজেদের ভিতরের কষ্টকে লুকিয়ে রাখি।

 

মানুষ সবসময় পূর্ণিমাতেই মুগ্ধ হয় কিন্তু তাদের পেছনে অন্ধকারে কেউ খেয়াল করেনা। অথচ আধার ছাড়া পূর্ণিমা মূল্যহীন।

 

পূর্ণিমা নিয়ে কবিতা -রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

 

 

পড়িতেছিলাম গ্রন্থ বসিয়া একেলা

সঙ্গীহীন প্রবাসের শূন্য সন্ধ্যাবেলা

করিবারে পরিপূর্ণ। পণ্ডিতের লেখা

সমালোচনার তত্ত্ব; পড়ে হয় শেখা

সৌন্দর্য কাহারে বলে– আছে কী কী বীজ

কবিত্বকলায়; শেলি, গেটে, কোল্‌রীজ

কার কোন্‌ শ্রেণী। পড়ি পড়ি বহুক্ষণ

তাপিয়া উঠিল শির, শ্রান্ত হল মন,

মনে হল সব মিথ্যা, কবিত্ব কল্পনা

সৌন্দর্য সুরুচি রস সকলি জল্পনা

লিপিবণিকের– অন্ধ গ্রন্থকীটগণ

বহু বর্ষ ধরি শুধু করিছে রচন

শব্দমরীচিকাজাল, আকাশের ‘পরে

অকর্ম আলস্যাবেশে দুলিবার তরে

দীর্ঘ রাত্রিদিন।

​​ অবশেষে শ্রান্তি মানি

তন্দ্রাতুর চোখে, বন্ধ করি গ্রন্থখানি

ঘড়িতে দেখিনু চাহি দ্বিপ্রহর রাতি,

চমকি আসন ছাড়ি নিবাইনু বাতি।

যেমন নিবিল আলো, উচ্ছ্বসিত স্রোতে

মুক্ত দ্বারে, বাতায়নে, চতুর্দিক হতে

চকিতে পড়িল কক্ষে বক্ষে চক্ষে আসি

ত্রিভুবনবিপ্লাবিনী মৌন সুধাহাসি।

হে সুন্দরী, হে প্রেয়সী, হে পূর্ণপূর্ণিমা,

অনন্তের অন্তরশায়িনী, নাহি সীমা

তব রহস্যের। এ কী মিষ্ট পরিহাসে

সংশয়ীর শুষ্ক চিত্ত সৌন্দর্য-উচ্ছ্বাসে

মুহূর্তে ডুবালে। কখন দুয়ারে এসে

মুখানি বাড়ায়ে, অভিসারিকার বেশে

আছিলে দাঁড়ায়ে, এক প্রান্তে, সুররানী,

সুদূর নক্ষত্র হতে সাথে করে আনি

বিশ্বভরা নীরবতা। আমি গৃহকোণে

তর্কজালবিজড়িত ঘন বাক্যবনে

শুষ্কপত্রপরিকীর্ণ অক্ষরের পথে

একাকী ভ্রমিতেছিনু শূন্য মনোরথে

তোমারি সন্ধানে। উদ্‌ভ্রান্ত এ ভকতেরে

এতক্ষণ ঘুরাইলে ছলনার ফেরে।

কী জানি কেমন করে লুকায়ে দাঁড়ালে

একটি ক্ষণিক ক্ষুদ্র দীপের আড়ালে

হে বিশ্বব্যাপিনী লক্ষ্মী। মুগ্ধ কর্ণপুটে

গ্রন্থ হইতে গুটিকত বৃথা বাক্য উঠে

আচ্ছন্ন করিয়াছিল, কেমনে না জানি,

লোকলোকান্তরপূর্ণ তব মৌনবাণী।

​​ পূর্ণিমা, ১৬ অগ্রহায়ণ, ১৩০২

 

উপরে আপনাদের জন্য কিছু জনপ্রিয় পূর্ণিমা নিয়ে ক্যাপশন শেয়ার করলাম। সামনে অন্য কোনো বিষয়ে উক্তি শেয়ার করবো। সে পর্যন্ত ভালো থাকুন। ধন্যবাদ

Bangla Quote