দোয়া মাসুরা -বাংলা উচ্চারণ ও অর্থ – পড়ার নিয়ম
দোয়া মাসুরা নামাজের শেষে পড়তে হয় । এটি পড়ে নামাজের সালাম ফেরানো হয় । নিচের এর আরবি , উচ্চারন ও বাংলা অর্থ বা অনুবাদ দেয়া হলো । আশাকরি আপনাদের কাজে আসবে । যদি সামান্য উপকার হয় তাহলে শেয়ার করবেন । ধন্যবাদ ।
দোয়া মাসুরা বাংলা উচ্চারণ ও অর্থ
আরবিঃ اللّٰهُمَّ إِنِّيْ ظَلَمْتُ نَفْسِيْ ظُلْمْاً كَثِيْراً، وَلاَ يَغْفِرُ الذُّنُوْبَ إِلاَّ أَنْتَ، فَاغْفِرْ لِيْ مَغْفِرَةً مِنْ عِنْدِكَ وَارْحَمْنِي، إِنَّكَ أَنْتَ الغَفُوْرُ الرَّحِيْمُ
উচ্চারণঃ আল্লাহুম্মা ইন্নি যলামতু নাফসি যুলমান কাসিরা । ওয়ালা ইয়াগ ফিরুয যুনুবা ইল্লা আনতা ফাগফির লি । মাগফিরাতাম মিন ইনদিকা । ওয়ার হামনি । ইন্নাকা আনতাল গাফুরুর রাহিম ।
বাংলা অর্থ / অনুবাদঃ হে আল্লাহ ! আমি আমার নিজ আত্মার উপর বড়ই অত্যাচার করেছি, গুনাহ মাফকারী একমাত্র আপনিই । অতএব আপনি আপনা হতেই আমাকে সম্পূর্ণ ক্ষমা করুন এবং আমার প্রতি দয়া করুন । নিশ্চয়ই আপনি ক্ষমাশীল দয়ালু ।
দোয়া মাসুরা কখন পড়তে হয় –দোয়া পড়ার নিয়মঃ
এই দোয়া টি আমরা সাধারণত নামাযের শেষের দিকে বৈঠকে বসে আত্তাহিয়াতু পড়ার পর, দুরুদে ইব্রাহিম পড়ার পর এই দোয়া টি পড়ে থাকি । নামাযে নিয়ত বাঁধার পর সানা (সুবাহাকাল্লাহুম্মা) পড়তে হয় । এর পর সূরা ফাতিহা পড়তে হয় । তারপর সূরা ফাতিহার সাথে অন্য যেকোন সূরা মিলিয়ে পড়তে হয় । এরপর রুকুতে গিয়ে সুবহা-না রব্বিয়াল আ`যিম পড়তে হয় । এরপর রুকু থেকে উঠে সোজা হয়ে দাড়াতে হয় । তারপর সিজদায় যেতে হয়, সেজদায় সুবহা-না রব্বিয়াল আ‘লা পড়তে হয় । এভাবে দুই সেজদার পড় উঠে দাঁড়িয়ে হাত বাঁধতে হয় ।
তারপর আবার আগের নিয়মে সূরা ফাতিহা পড়ে, আগের মত করে পরের রাকাত শেষ করতে হয় । এভাবে যদি দুই রাকাত নামাজ হয়, তাহলে দুই রাকাত পড়ার পরে বসে আত্তাহিয়াতু পড়তে হয় । তারপর দুরুদে ইব্রাহিম পড়তে হয় । তারপর সালাম ফেরানোর আগে এই দোয়া মাসুরা পড়তে হয় ।