ডাক – শ্রীজাত
ভাষা আমার শরীর। যেমন আকাশ মাটি জলও –
তারও আছে শিকড়, তুমি ফুলের কথাই বলো।
‘অ’ বললে তাই অহং বুঝি, ‘আ’ বললে তাই আদর
আমার ভাষায় বসত করে অজস্র বেরাদর।
সবাই মিলে চড়ুইভাতির বর্ণমালা খুলি,
সেখানে কেউ ওঠায় যদি শাসনে অঙ্গুলি
শেখায়, কে কী বলবে এবং বলবে না কোন কথা,
আমার ভাষায় চার অক্ষরে তৈরি নীরবতা
ভাঙতে পারে তখন। জেনো চড়তে পারে গলা।
খোঁপায় শোভা পেলেও সে তো প্রতিবাদের পলাশ –
পথে লুটোয় ইচ্ছেমতো, দিগন্তে তার আভা…
কেউ বলে সুস্বাগতম আর কেউ বলে মারহাবা
এসব ছাড়াও অন্য কথা বলে যে নিন্দুকে
দেখছে না সে ভাষার রেখা, নাগরিকের মুখে?
দেখছে না সে, ভাতের কাছে হার মেনেছে মানুষ?
আবহমান খিদের সামনে ভাষাও নতজানু…
সেই ভাষাতেই ডাকছি তোমায়, ভাতের কাছে এসো
স্পর্শে এবার বরণ করি, সব অভিমান শেষ হোক।
থাকুক কেবল মনের কথা, পড়ন্ত বিশ্রামে
ভিজিয়ে দিক বর্ণমালা, বৃষ্টি যেমন নামে –
তোমার চোখের বানান করি, ভুল হলে তাও বলো
ভাষায় জাগুক এই পৃথিবীর ঘুমন্ত অঞ্চলও
বিস্তৃত সেই উপত্যকার দু’চারটে অক্ষরে
তোমায় যেন ডাকতে পারি, একুশজন্ম পরে!
- এই শীতে – বুদ্ধদেব বসু
- নকশী কাঁথার মাঠ – জসীমউদ্দিন
- নিমন্ত্রণ – জসীমউদ্দীন
- মুক্তিযুদ্ধের কবিতা – বুদ্ধদেব বসু
- শিরোনামহীন – বুদ্ধদেব বসু
- ডাক – শ্রীজাত
- বাঙলা ভাষা – হুমায়ুন আজাদ
- তুমি কোনোদিন কাউকে বলো না – জসীম উদ্দীন মুহম্মদ